সর্বশেষ এশিয়া সফরে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হোম টেস্টে পাকিস্তান ২-০ তে অসিদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল। দুই বছর পর ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কাতেও তারা পেয়েছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। ওয়ার্ন-মুরালিধরন টেস্ট সিরিজে লঙ্কানরা সিরিজ জিতেছিল ৩-০ তে। তবে এ বছরের শুরুতে ভারতে কিছুটা হলেও উন্নতির ছাপ রেখেছিল স্মিথরা। ৩৩৩ রানে জিতে শুরু করেছিল চার ম্যাচের সিরিজ, ছিল একটি ড্র। তবে সফরকারীদের সিরিজ হারতে হয় ২-১ এ। এবার তাদের সামনে বাংলাদেশ পরীক্ষা।
২০০৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ফতুল্লায় প্রথম টেস্টে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের ওই দল। বাংলাদেশের ৪২৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পড়েছিল সফরকারীরা। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ১৪৪ রান করে দলকে বাঁচান। দ্বিতীয় ইনিংসে পন্টিং না থাকলে ৩০৭ রানের টার্গেট ছোঁয়া অসম্ভব হতে পারত অস্ট্রেলিয়ার। অধিনায়কের ব্যাটে এসেছিল অপরাজিত ১১৮ রান। ১১ বছর পর ওই সফরের কেউ নেই স্মিথদের দলে। এবারও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না স্মিথ।
দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্টে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধের ঘটনা মনে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তাই সতর্ক তিনি, ‘তারা তাদের কন্ডিশনে খুব ভালো দল। তারা খুব চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।’ বাংলাদেশের মাটিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে তিনটি ওয়ানডে ও ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে কিছু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান ২৮ বছর বয়সী এ অধিনায়ক, ‘ওই কন্ডিশনে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারায় ভালো হয়েছে। তাছাড়া আমরা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ থেকেও আমরা কিছু শিক্ষা নিয়েছিলাম।’ ভারত সফরের ভুলগুলো এবার আর করতে চান না স্মিথ, ‘আশা করি ওই সফর থেকে অনেক কিছু শিখেছে ছেলেরা। আমরা এ সফরে সেটা কাজে লাগাতে পারব। আমরা সফল হওয়ার ব্যাপারে সত্যিই আশাবাদী।’
ঢাকায় পৌঁছে আগামীকাল শনিবার অনুশীলনে নামবে স্মিথ-ওয়ার্নাররা। ২২ ও ২৩ আগস্ট দুইদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এর পর ২৭ আগস্ট মিরপুর ও ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসল লড়াইয়ে নামবে সফরকারীরা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ক্রিকইনফো
/এফএইচএম/