টেস্ট ক্রিকেট থেকে অনেক দিন বাইরে ডি ভিলিয়ার্স। সেই ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন সবশেষ পাঁচ দিনের ম্যাচ। টেস্ট থেকে বাইরে থাকার সময়েই আবার ঘোষণা দিলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়ার। ফাফ দু প্লেসিসের অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো খেলায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন অধিনায়কের জায়গা থেকে। দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণায় বিষয়টি উল্লেখ করে এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘ফাফ দু প্লেসিস টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে দারুণ অধিনায়কত্ব করছে, যেটা আমার বিবেচনায় ছিল। তাই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে জানিয়েছি, ওয়ানডের অধিনায়কের পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াতে চাই।’
কনুইয়ের চোটে ক্রিকেট মাঠ থেকে ছিটকে যান ডি ভিলিয়ার্স গত বছরের জানুয়ারিতে। টেস্টে না ফিরলেও এ বছরের জানুয়ারিতে ফেরেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। গত ছয় বছর অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন খেলোয়াড়ের ভূমিকায়। তার জায়গায় নতুন যিনি দায়িত্ব নেবেন, তাকে সাহায্য করবেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘গত ছয় বছর দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের। তবে এটাই সঠিক সময় অন্য কারও ওয়ানডে দলকে এগিয়ে নেওয়ার। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে যাকেই নিয়োগ দেওয়া হোক, আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন দেব।’
টেস্টে ফেরার জন্যও এখন প্রস্তুত ডি ভিলিয়ার্স, ‘জাতীয় নির্বাচকদের নিশ্চিত করেছি যে, সামনের মৌসুমে তিন ফরম্যাটের জন্য আমি প্রস্তুত।’ দক্ষিণ আফ্রিকার পরের সিরিজটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের ওই সিরিজের টেস্টে যে তিনি খেলবেন না, সেটাই জানিয়ে রেখেছেন আগেই। তাই ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্ট দিয়েই হয়তো পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ফিরবেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়া ডি ভিলিয়ার্স। ক্রিকইনফো