বৃষ্টিকে বাদ দিলে চট্টগ্রামে টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে শুধু বাংলাদেশই। এক কথায় বললে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা! ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। হাতে এক উইকেট নিয়ে অতিথিদের লিড ৭২ রানের।
অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১০০ রানের লিড পেলেই তাদের জন্য যথেষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে কতটা মরিয়া। ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলের অবশ্য উপায়ও নেই। তারা দাঁড়িয়ে আছে খাদের কিনারে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের প্রথম কাজ অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেট তুলে নেওয়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশ কত রানের টার্গেট দিতে পারবে, তা বলা মুশকিল। তবে অন্তত ২৫০ রানের টার্গেট দিতে না পারলে জয় পাওয়া মুশকিল। পঞ্চম দিনে ব্যাটিং করা এমনিতেই কঠিন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের বর্তমান যা অবস্থা, তাতে পঞ্চম দিনে ব্যাটিং যে দুরূহ হয়ে উঠবে, তা বলে দেওয়াই যায়।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বোধহয় নাথান লিওনকে নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া লিওন বুধবার শেষ বিকেলে উইকেটের টার্ন দেখে খুশিতে আত্মহারা হতেই পারেন! দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনারের বিপক্ষে তামিম-মুশফিক-সাকিবরা কী কৌশল অবলম্বন করেন, সেটাই দেখার।
শুধু লিওন নয়, অতিথিদের দুই বাঁহাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফ আর অ্যাস্টন অ্যাগারকে নিয়েও থাকতে হবে পরিকল্পনা। প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও উপমহাদেশে কিন্তু ভালোই সাফল্য পেয়েছেন ও’কিফ। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত সফরে চার টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, এর মধ্যে পুনে টেস্টেই ছিল ১২ উইকেট।
বাংলাদেশের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি। লিওন প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডারের চার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিলেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ বাঁহাতির মাঝখানে অন্তত একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ঢুকিয়ে ভারসাম্য আনতে হবে। কারণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অফস্পিনাররা সাফল্য পান সবসময়। টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণের সময় বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
পুরো বাংলাদেশের মতো মোস্তাফিজুর রহমানও তাকিয়ে ব্যাটসম্যানদের দিকে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আরেকটি উইকেট নিতে হবে। এরপর ব্যাটসম্যানরা অস্ট্রেলিয়াকে বড় লক্ষ্য দিতে পারলে ম্যাচটা জেতা অসম্ভব নয় আমাদের জন্য।’