নাঈম-ধীমানের সেঞ্চুরিতে দারুণ শুরু রংপুরের

নাঈম ইসলাম অপরাজিত আছেন ১২০ রানেপ্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফেরার দিনটা রাঙিয়ে নিতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। বল হাতে শুরুটা দারুণ হলেও জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে খুলনা বিভাগের এই বোলার পাননি কোনও উইকেট। তার ফেরার দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে প্রতিপক্ষ রংপুর বিভাগ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষের সেঞ্চুরিতে দাঁড় করিয়েছে বড় স্কোর। প্রথম দিন শেষে রংপুরের রান ৬ উইকেটে ৩২৫।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর শুরুতেই খায় ধাক্কা। যদিও সেটা কাটিয়ে উঠে নাঈম ও ধীমানের ব্যাটে। চমৎকার ব্যাটিংয়ে দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০৫ রান করে ধীমান আউট হলে গেলেও অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছেন নাঈম। ১২০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ধীমানের আউটের পরই শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা।

এর আগে ওপেনার জাহিদ জাভেদ মাত্র ২ রান করে আউট হওয়ার খানিক পর রংপুর হারায় দ্বিতীয় উইকেট, যখন মাহমুদুল হাসানও ফেরেন ২ রান করে। শুরুর ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন অধিনায়ক নাঈম আরেক ওপেনার সায়মন আহমেদকে সঙ্গী করে। সায়মন ৫০ রান করে আউট হলেও নাঈম লড়ে গেছেন অন্য প্রান্তে।

সায়মনের আউটের পর আবার ছন্দপতন হয় রংপুরের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাসির হোসেন সুযোগ পাননি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। নির্বাচকদের জবাব দেওয়ার মঞ্চ এখন তার জাতীয় লিগ। কিন্তু এবারের আসরের প্রথম ইনিংসে করতে পারেননি কিছুই। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ৩০ রান করে ফিরে যান আরিফুল হক।  

এরপরই শুরু নাঈম-ধীমানের প্রতিরোধ। দুজন লড়ে গেছেন সমানতালে, তুলে নেন সেঞ্চুরিও।

প্রথম দিনে খুলনার সবচেয়ে সফল বোলার আল-আমিন হোসেন। ৫০ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাকেরও শিকার ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(প্রথম দিন শেষে)

রংপুর বিভাগ: ৮৭.৩ ওভারে ৩২৫/৬ (নাঈম ১২০*, ধীমান ১০৫, সায়মন ৫০, আরিফুল ৩০; আল-আমিন ৩/৫০, রাজ্জাক ৩/৮৭)।