বিপিএলের গত আসরে জ্বলে উঠতে পারেননি সাইফ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৯টি উইকেট, রান ছিল মাত্র ২২। তবে গত এক বছরে এইচপি দলে খেলে তিনি অনেক পরিণত।
এইচপি দলের হয়ে সদ্যসমাপ্ত ইংল্যান্ড সফরে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স সাইফের। চার ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডারের চোখ এখন বিপিএলে। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘বিপিএলের গত আসরে প্রথম দুটি ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। আশা করি, এবার সব ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো। গতবারের অভিজ্ঞতার সঙ্গে এইচপি দলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবো।’
এবারও বিপিএলে সাইফের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতবার মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে খেললেও এবার তাদের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন সম্পর্কে সাইফের মন্তব্য, ‘গতবার মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্বে খেলে খুব ভালো লেগেছিল। এবার তিনি অন্য দলে, তাকে খুব মিস করবো। তবে তামিম ভাইয়ের সঙ্গে খেলার রোমাঞ্চও কম নয়।’
সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে সোমবার গভীর রাতে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছে এইচপি দল। সিরিজে চারটি ম্যাচ জিতেছে তরুণ ক্রিকেটাররা, বাকি তিনটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাইফের বিশ্লেষণ, ‘ইংলিশ কন্ডিশন সব সময়ই কঠিন, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য। আমার মতো লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য ভীষণ কষ্ট করতে হয় সেখানে। আমাদের দেশের উইকেটে বল তেমন মুভ বা বাউন্স করে না। আমরা চেষ্টা করেছি সেখানে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার।’
ইংল্যান্ডে ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বলেই জানালেন তিনি, ‘ওখানে দুটি ম্যাচে ওপরের দিকে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছি। তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারিনি, কিন্তু ৪০ প্লাস রান করেছি। ব্যাটিংটা আরও ভালো হতে পারতো। ব্যাটিং নিয়ে আরও কাজ করতে হবে আমাকে।’
তবে বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে সাইফ সন্তুষ্ট, ‘ওখানে বোলিং করে খুব ভালো লেগেছে। উইকেট পেয়েছি, লাইন-লেন্থও মনের মতো হয়েছে। আমাদের দেশে বোলিংয়ের সময় বেশি ভেরিয়েশনের প্রয়োজন। কিন্তু ইংল্যান্ডে গ্রিপ কাজে লাগিয়ে ইনসুইং বা আউটসুইং সহজেই পাওয়া যায়। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আমাদের বোলাররা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।’