সিলেটে প্রথম দিনে বোলারদের দাপট

প্রায় সময় এমন উদযাপন করেছেন বাংলাদেশের বোলাররাসাইফ হাসান আহত হওয়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সিলেটে গেছেন মেহেদি হাসান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বল হাতেও জাদু দেখাতে ভুললেন না। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের একমাত্র ম্যাচে বুধবার ৩ উইকেট নিলেন এ স্পিনার। শুধু মেহেদি নয়, বাংলাদেশের অন্য বোলারদের দাপটও দেখলো আইরিশরা। তারাও কম যায়নি, শুরুতেই স্বাগতিকদের একটি উইকেট তুলে নিয়েছে। এক কথায়, প্রথম দিন কাটলো বোলারদের। বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৩৮ রানে।

প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড সবগুলো উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছে ২৫৫ রান। সিমি সিং না দাঁড়িয়ে গেলে লড়াই করার মতো এই স্কোর করতে পারতো না সফরকারীরা। তার ব্যাটেই এসেছে দলের প্রায় অর্ধেক রান। প্রথম শ্রেণির চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন সিমি। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলের এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ১৫৯ বলে ১৯ চার ও ৪ ছয়ে ১২১ রান করেন।

বাংলাদেশের পেসারদের তোপে পড়ে মাত্র ২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপরই শন টেরির সঙ্গে ৭৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সিমি। এবাদতের দ্বিতীয় শিকার হয়ে টেরি (২০) সাজঘরে ফিরলে আবার নড়বড়ে হয়ে যায় আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। ৬১ রানের ব্যবধানে তারা ৫ উইকেট হারায়। সেই ধাক্কা তারা সামলে ওঠে নবম উইকেটের জুটিতে। এন্ডি ম্যাকব্রিনের সঙ্গে আরেকটি প্রতিরোধমূলক জুটি গড়েন সিমি। দুজনকেই ফেরান মেহেদি। শেষ ব্যাটসম্যান হয়ে আউট হওয়ার আগে ম্যাকব্রিনের ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান।

১৩.৫ ওভারে মেহেদি ৪৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। কামরুল ইসলাম রাব্বি, এবাদত ও জুবায়ের হোসেন পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।

বাংলাদেশি বোলারদের মতো আইরিশ বোলারও সফল হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি। তৃতীয় ওভারেই নাথান স্মিথের শিকার হন জাকির হাসান, তখন দলের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে কেবল ১ রান। তবে সাদমান ইসলামকে নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭ রানের অপরাজিত জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করেছেন। সাদমান ২২ ও নাজমুল ১৫ রানে অপরাজিত আছেন।