‘আমাকেই বিসিবি সভাপতি দেখতে চায় সবাই’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নাজমুল হাসাননাজমুল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলো মঙ্গলবার। কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সভাপতি কে হতে পারেন তা নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি জল্পনা। সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী স্বেচ্ছায় কাউন্সিলরই হননি। কয়েক মাস আগে নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘আর থাকতে চাই না।’ কিন্তু মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে আবার বিসিবি সভাপতি হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আবাহনী লিমিটেড থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন নাজমুল হাসান। আবার বোর্ড সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সবাই আমাকেই বিসিবি সভাপতি হিসেবে চাইছে। আগে বোর্ড পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হই, তারপর দেখা যাবে।’

চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে সবার সামনে সাফল্যের তালিকা তুলে ধরেছেন নাজমুল হাসান, ‘টিম যে ভাল খেলছে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষ করে ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো খেলেছি, বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছি। সবচেয়ে বেশি সাফল্য অবশ্য দেশের মাটিতে। প্রথমবার পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জিতেছি। টেস্টে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ ড্র করেছি।’

কয়েক বছরের মধ্যে বিদেশের মাটিতেও টাইগারদের সাফল্য দেখতে আশাবাদী বিসিবির সদ্যবিদায়ী সভাপতি, ‘এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি। দেশের মাটিতে ভাল খেললেও বাইরে আমরা তেমন ভালো খেলতে পারছি না। কী সমস্যা হচ্ছে, কেন সমস্যা হচ্ছে এসব নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। তবে সব মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি। এটা ধরে রাখাও একটা চ্যালেঞ্জ। সামনে আইসিসি ওডিআই লিগ শুরু হচ্ছে। সবার পয়েন্ট কিন্তু জিরো দিয়ে শুরু হবে। সবার সঙ্গে সবার খেলা হবে।’

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রায় ১৭ বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসানের চোখে এটা একটা বড় অর্জন, ‘আমরা অন্তত একটা টেস্ট  ভারতে গিয়ে খেলে এসেছি। ওখানে যে সমস্যার কারণে যেতে পারছিলাম না, তার সমাধান করেছি। নতুন সূচিতে ২০১৯ সালে ভারতের মাটিতে আমাদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ রয়েছে।’

মেয়াদ শেষে একটা আক্ষেপ অবশ্য ভুলতে পারছেন না তিনি, ‘ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে দলকে পাঁচ নম্বরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, আমরা পাঁচে উঠে যাব। সামনে পাঁচের মধ্যে আসাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’