শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ঢাকাকে হারালো রংপুর

আবারও ম্যাচসেরা হয়েছেন গেইলআবু হায়দার রনি ব্যাটে লাগাতে পারলেন না বল। সরাসরি আঘাত করলো স্টাম্পে। রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড়দের বাধভাঙা উল্লাস। নিশ্চিত হারতে যাওয়া ম্যাচটি মুঠোবন্দি করলো যে একেবারে শেষ বলে। তাও আবার যেনতেন দলের বিপক্ষে নয়; যাদেরকে ফেভারিট ধরা হচ্ছে এবারের বিপিএলে, সেই ঢাকার বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয়ের উল্লাস তো এমন হবেই।

শেষ ১২ বলে দরকার ১৩ রান। ঢাকা ডায়নামাইটসের হাতে তখন ৩ উইকেট। চমৎকার বোলিংয়ে লাসিথ মালিঙ্গা ওই ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান। তাতে ৬ বলে ঢাকার দরকার পড়ে ১০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোটেও কঠিন সমীকরণ নয়, তার ওপর আবার ক্রিজে তখন কিয়েরন পোলার্ড। থিসারা পেরেরার শেষ ওভারে ছক্কা মেরে জমিয়েও দিলেন ম্যাচ। কিন্তু জেতাতে পারলেন না ঢাকাকে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানের পর শেষ বলে আবু হায়দার রনিকে বোল্ড করে পেরেরা ৩ রানের নাটকীয় জয় এনে দেন রংপুর রাইডার্সকে।

ক্রিস গেইলের হাফসেঞ্চুরিতে (২৮ বলে ৫১) রংপুর ১৯.৫ ওভারে স্কোরে জমা করে ১৪২ রান। এই সংগ্রহ নিয়েই দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপের ঢাকাকে আটকে দিয়েছে রংপুর অসাধারণ বোলিংয়ে। রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে ঢাকাকে ১৩৯ রানে অলআউট করে মাশরাফিরা পেয়েছে ৩ রানের জয়।

রংপুরের বোলারদের প্রত্যেকেই ছিলেন দুর্দান্ত। মাশরাফি বিন মুর্তজা (২/৩০), সোহাগ গাজী (২/১৮), লাসিথ মালিঙ্গা (১/২০) ও রুবেল হোসেন (২/২৯) নিজেদের জাত চিনিয়েছেন আরেকবার। তাদের তুলনায় একটু খরুচে বোলিং করলেও পেরেরা (২/৩৭) সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন শেষ ওভারে অমন চমৎকার বোলিং করে।

১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকা শুরুতেই হারায় সুনিল নারিনের (০) উইকেটটি। ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব করেন ১১ রান। তাদের বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন এভিন লুইস ও জহুরুল ইসলাম। তবে যেতে পারেননি বেশিদূর। লুইস ২৮ রান করে ফেরার পর জহুরুল আউট হন ২৯ রান করে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। মাঝে শহীদ আফ্রিদি ঝড় তুলে রান তোলার গড় একটু বাড়িয়েছিলেন। তার ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংসটার পর ম্যাচ ঢাকার হাতে চলে এলেও রংপুরের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে হার মানতে হয় তাদের। শেষ আশা হিসেবে টিকে থাকা পোলার্ডের (১২) আউটে জয় দেখে ফেলে রংপুর। যেটা বাস্তবে রূপ দেয় তারা শেষ বলে আবু হায়দারকে (২) আউট করে।

অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচটি রংপুর জিতলেও ব্যাটিংয়ে চমৎকার ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস গেইল। টানা দ্বিতীয়বার হলেন তিনি ম্যাচসেরা।