সাফল্যের মন্ত্র জানালেন মাশরাফি

_B9I1452বিপিএলের পাঁচবারে চারটি শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি মুর্তজা। প্রথম দুই মৌসুমে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে কোনোরকমে গড়া একটি দল নিয়ে কুমিল্লাকে শিরোপা এনে দেন মাশরাফি। মাঠে দারুণ নেতৃত্বের পাশাপাশি দলগত পারফরম্যান্স করেই শিরোপা জিতেছিলেন দুই বছর আগে। এবার ভিন্ন অবস্থা, ভালো মানের দল গড়েও তেমন সাফল্য শুরুতে পায়নি রংপুর রাইডার্স। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্লে অফের টিকিট পেয়েছিল তারা। অথচ দাপটের সঙ্গে সেই বাধা পেরিয়ে ফাইনালে শিরোপা জিতলো রংপুর। ভাগ্যের সহায়তা তো ছিলই, দলীয় চেষ্টাও তাদের এনে দিয়েছে সফলতা, মাশরাফি মনে করেন এমনটাই।

চেষ্টা কেমন ছিল? মাশরাফির মতে, গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সদ্ব্যবহার করা। দারুণ কয়েকটি ক্যাচ নিয়ে পথটা নিজেদের মতো করে নেওয়া। ফাইনালে যেমন- দারুণ ক্ষিপ্রতায় এভিন লুইসের ক্যাচটি ধরেছেন মাশরাফি। গেইল যেমন ২২ রানে জীবন পেয়ে টিকে ছিলেন ১৪৬ রানে। এই মুহূর্তগুলোই ছিল সফলতার জন্য বিশেষ কিছু। অবশ্য ভাগ্যকেও কৃতিত্ব দিলেন রংপুরের অধিনায়ক, ‘অবশ্যই চেষ্টা করা বড় ব্যাপার। শুধুমাত্র ভাগ্যের ওপর বসে থাকলে চলবে না। আপনি চেষ্টা করলেন না, কিন্তু ভাগ্যের অপেক্ষায় থাকলেন। এমনটা হলে চলবে না। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু দিন শেষে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কিংবা যেকোনও ভালো কিছু করতে হলে ভাগ্য অবশ্যই পক্ষে থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এটাই।’

সফল হওয়ার ক্ষুধা ছিল বলেই অর্জনের পাল্টা ভারী হলো মনে করেন মাশরাফি, ‘আমরা প্লে অফের আগে অন্য চেহারায় ছিলাম। তবে এটা সত্যি কথা, আমাদের ভেতরে জয়ের ক্ষুধাটা ছিল। আমরা মাঠে গিয়ে সব সময় কিছু না কিছু করতে চেয়েছি।’

রংপুরের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরই অধিনায়ক জেনেছেন, মালিকপক্ষের চাহিদা ছিল সেমিফাইনাল। আর তাতেই চাপটা অনেক কমে যায় তার। এটাই সাফল্যের আরও একটা কারণ বলে মাশরাফি জানালেন, ‘শিরোপা জিতেছি খুব ভালো লাগছে। তাদের (মালিকপক্ষ) প্রত্যাশা ছিল সেমিফাইনাল খেলা। অনেক কষ্ট করে সেমিফাইনাল উঠতে হয়েছে। এরপর তারা খুশি হয়েছিলেন। লিগে চারে থাকার কারণে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা ছিল না। এটাই আমাদের চাপমুক্ত করেছে। আমরা জানতাম আমাদের দুই-তিনজন খেলোয়াড় আছে, যারা ম্যাচ যে কোনও সময় বদলে দিতে পারে।’