ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে মালানের ব্যাট সেভাবে আলো ছড়ায়নি। এরপরও ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিল এই ব্যাটসম্যানের ওপর। যার প্রতিদান দিলেন মালান পার্থে চমৎকার সেঞ্চুরি দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলারদের সামলে তিনি তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন ১১০ রান নিয়ে। ১৭৪ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৫ চার ও এক ছক্কায়।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মালানকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বেয়ারস্টো। ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফসেঞ্চুরি। মালানের সঙ্গে সমানতালে লড়ে দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৭৫ রানে। ১৪৯ বলের ইনিংসে তার বাউন্ডারি ১০টি। মালান-বোয়ারস্টোর জুটিতেই এবারের অ্যাশেজে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে এখন ইংল্যান্ড।
তাদের আগে টপ অর্ডারে আলো ছড়িয়েছেন মার্ক স্টোনম্যান। ভালো শুরুর পরও এই ওপেনার ইনিংস লম্বা করতে পারছিলেন না। ব্রিসবেনের প্রথম টেস্টেও হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। পার্থে এসেও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। যদিও বেশিদূর যেতে পারেনেনি, ৫৬ রানে তাকে থামান মিচেল স্টার্ক। আরেক ওপেনার কুককেও (৭) ফিরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার।
জেমস ভিন্সের শুরুটাও ভালো ছিল। কুক দ্রুত আউট হওয়ার পর জুটি বেঁধেছিলেন স্টোনম্যানের সঙ্গে। তবে জশ হ্যাজেলউডের বলে ২৫ রানে তাকে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। আক্রমণাত্মক শুরুর পর অধিনায়ক জো রুটও ব্যর্থ হন। প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটরক্ষক টিম পেইনের গ্ল্যাভসবন্দি হওয়ার আগে ২৩ বলে করেন ২০ রান। যদিও মালান-বেয়ারস্টোর জুটিতে দারুণ দিন পার করেছে ইংলিশরা।
প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার স্টার্ক। ৭৯ রানে তার শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হ্যাজেলউড ও কামিন্স। ক্রিকইনফো