২০১০ সালে এই মাঠেই প্রথমবার টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন স্মিথ। ওইবার ইংল্যান্ডের কঠিন স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিন বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এর জবাব দিয়েছিলেন দারুণ সেঞ্চুরিতে প্রথম অ্যাশেজ জিতে। আর এবার তরুণ একটি দল নিয়ে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিলেন শক্ত হাতে। জয়ের পরের অনুভূতিটা ছিল স্মিথের অন্যরকম, ‘কয়েক মিনিট আগে আমি খুব কাঁদছিলাম। এর পেছনে আমরা অনেক সময় ও শ্রম দিয়েছিলাম।’
মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে স্বপ্ন সত্যি হলো স্মিথদের। অ্যাশেজ জেতাই যেখানে বিরাট ব্যাপার, সেখানে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হওয়াটা আরও বিশেষ কিছু, ‘অস্ট্রেলিয়ান ও ইংলিশ ক্রিকেটারদের জন্য অ্যাশেজ সিরিজ বিরাট ব্যাপার। সবসময় চাপ থাকেই। কোনও অ্যাশেজে অধিনায়ক হিসেবে এটাই আমার প্রথম সিরিজ। আমি মনে রাখার মতো কিছু করতে চেয়েছিলাম এবং বিশেষ কিছু। গত কয়েক সপ্তাহ ছেলেরা যা করেছে, সেটা ব্যতিক্রম ছিল।’
অ্যাশেজ সিরিজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে জয়ের ক্ষুধা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। মেলবোর্ন ও সিডনিতে বাকি দুই ম্যাচ জিতে ২০০৭ ও ২০১৪ সালের মতো ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় স্বাগতিকরা। স্মিথ বললেন সে কথা, ‘তেমন কিছু করতে পারলে চমৎকার হবে এবং মেলবোর্ন নিয়ে কথা বলবো, সেখানে যাওয়ার পর। ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে (হোয়াইটওয়াশ) আমিও দলে ছিলাম এবং আমার জীবনের চমৎকার দিন ছিল সেটা। আমরা ধাপে ধাপে এগোব এবং সফলতা ধরে রাখবো।’