সোহাগ গাজীর স্পিনে ধুঁকছে মধ্যাঞ্চল

6th-BCLতিন সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৭৩৫ রান করেছিল ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। রানের এই বিশাল পাহাড়ে উঠতে গিয়ে সোহাগ গাজীর স্পিনে ধুঁকছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।

তৃতীয় দিন শেষে এখনও ৩৮৩ রানে পিছিয়ে মোশাররফ হোসেনের দল। তাদের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের খেলা মধ্যাঞ্চল শুরু করে ১ উইকেটে ৪০ রানে। আরও ৩৪ রান যোগ করার পর ভাঙে সাদমান ইসলাম ও মেহরাব হোসেনের ৪৮ রানের জুটি। মেহরাব ১০ রানে সোহাগের দ্বিতীয় শিকার হন। এই ডানহাতি অফস্পিনার দিন শেষ করেছেন আরও তিন উইকেট নিয়ে।

আগের দিন রবিউল ইসলাম রবিকে প্যাভিলিয়নে ফেরানো সোহাগ তৃতীয় দিন নেন তিন হাফসেঞ্চুরিয়ানের উইকেট। সাদমান ৫৬ রানে তার বলে অলক কাপালিকে ক্যাচ দেন। শক্ত জুটি গড়া রকিবুল হাসান ও মার্শাল আইয়ুবের ৯৭ রানের জুটি ভাঙেন এনামুল হক জুনিয়র। ৮৭ বলে ৭ চারে ৬৫ রান করেন আইয়ুব।

শুভাগত হোমকে নিয়ে রকিবুল বেশ আশা জাগানিয়া জুটি গড়েন। সেটা ভেঙে দেন সোহাগ। ১২২ রানের এ জুটি বিচ্ছিন্ন হয় রকিবুল ৮৫ রানে তাসামুলের ক্যাচ হলে।

৩১৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো মধ্যাঞ্চল বড় ধাক্কা খায় ৯৭ ও ৯৮তম ওভারে। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে টানা দুটি উইকেট হারায় তারা। শুভাগত ৭৩ রানে এনামুলের বলে সোহাগের ক্যাচ হন। মোশাররফ রানের খাতা খোলার আগেই সোহাগের পঞ্চম শিকার হন।

তানবির হায়দার ২০ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত খেলছেন। সোহাগ ৩৬ ওভারে ৬টি মেডেনসহ ১০৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। এনামুল পান দুটি উইকেট।

এর আগে একটি ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনটি সেঞ্চুরিতে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৩৫ রানের পাহাড় গড়ে পূর্বাঞ্চল। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ২১১ রান করেন। এছাড়া ইয়াসির আলী রাব্বি অপরাজিত ১৩২, কাপালি ১৬৫ ও লিটন দাস করেন ১১২ রান।