ম্যাচের আগের দিনও ‘টিকিট চাই, টিকিট চাই’ চিৎকারে মুখর ছিল স্টেডিয়াম এলাকা। টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ’, যে কোনও উপায়ে একটা টিকিট পেতে মরিয়া ক্রিকেট-ভক্তরা। স্থানীয় এক সাংবাদিক জানালেন, অনলাইনে বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টিকিট শেষ! এখন শুধু অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে সামান্য কিছু টিকিট বিক্রি হচ্ছে, আর তা পেতে বুথের সামনে প্রচণ্ড ভিড়। রবিবার সকালেই টিকিট কেনার শেষ সুযোগ।
বিপিএলের সময় সিলেট শহর সেজে উঠেছিল আলোয়। তবে এই ম্যাচের আগের দিনও তেমন আলোকসজ্জা চোখে পড়েনি। ক্রিকেট-ভক্তদের উচ্ছ্বাস অবশ্য টের পাওয়া যাচ্ছে ভালোমতোই। পেশায় ব্যবসায়ী আরিফুল অনলাইনে টিকিট কিনতে পেরে উৎফুল্ল। রবিবার দোকান বন্ধ রেখে খেলা দেখবেন তিনি। আরিফুলকে দেখেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের খেলা দেখতে কতটা উদগ্রীব সিলেটবাসী।
সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর সড়কে যাওয়ার পথে একপাশে স্টেডিয়ামের বড় ফটক। সেটি ধরে সামনে এগোলে দুই পাশে চা-বাগান। কিছুদূর এগোনোর পর স্টেডিয়ামে ঢোকার প্রধান ফটক। প্রথম দেখায় যে কেউ মুগ্ধ হবে। নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটির আগে নাম ছিল সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটি সংস্কার করা হয়, আর তখনই নাম হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০ ওভারের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস এবং আরব আমিরাতের ম্যাচ আয়োজন করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সিলেটকে।
গত বছর বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ সহ আটটি ম্যাচ হয়েছিল সিলেট স্টেডিয়ামে। ব্যাটসম্যানদের মুখে হাসি ফোটানো উইকেটে গড়ে ১৫১.৬৮ রান হয়েছিল এখানে, দুবার ২০০ পেরিয়েছিল স্কোর। রবিবারের লড়াইও ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।