আয়ারল্যান্ডকে ১০৭ রানে হারিয়ে এই পর্ব শুরু করা জিম্বাবুয়ে এদিন ব্রেন্ডন টেলরের অসাধারণ ইনিংসে ২৮৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জিতে ব্যাট করতে চেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৭৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের সিদ্ধান্তকে যথাযথ হতে দেয়নি উইন্ডিজ। টেলর না দাঁড়ালে মহাবিপদে পড়তে পারতো জিম্বাবুয়ে। ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ১০৫ বলে ১০ নম্বর হাফসেঞ্চুরি করেন। শন উইলিয়ামস (৩৪) ও সিকান্দার রাজার (২২) সঙ্গে ৭৬ ও ৭৯ রানের দুটি জুটিতে স্বস্তি ফেরান তিনি।
১২৪ বলে ২০ চার ও ২ ছয়ে ১৩৮ রানে টেলর আউট হওয়ার পর থমকে যায় জিম্বাবুয়ের রানের গতি। ৩০ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া শন মায়ার আবার নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন।
উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। তিনটি পান কেমার রোচ।
লুইসের সঙ্গে হোপের জুটি ছিল ৭২ রানের। আর স্যামুয়েলসকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান জমা করেন হোপ। ৪৪তম ওভারে স্যামুয়েলস তার ৮০তম বলে মুজারাবানির দ্বিতীয় শিকার হলে জিম্বাবুয়ে উল্লাস করার সুযোগ পায়। কারণ টানা ৩ ওভারে ২০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। স্যামুয়েলস ৮৬ রান করেন ৬ চার ও ৪ ছয়ে। পরের ওভারেই ৭৬ রানে শন উইলিয়ামসের কাছে উইকেট হারান হোপ। লুইসের ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সেরা ৬৪ রান।
২৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো উইন্ডিজ ২৬৫ রানে হারায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানকে। এই সাময়িক বিপদকে সামাল দিয়ে রভম্যান পাওয়েল ১৫ ও অ্যাশলে নার্স ৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান।
এই জয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আর জিম্ববায়ে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্টে দুই নম্বরে, তারা শেষ ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ক্রিকইনফো