মঙ্গলবার সাভারে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। একই সঙ্গে তাদের মন পড়ে ছিল ফতুল্লায় শেখ জামাল ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচে। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি ক্লাব যেন হারে, সেই প্রার্থনা করছিল মোহামেডান। সুপার লিগের টিকিট পেতে তাদের তো জিততেই হবে, একই সঙ্গে হারতে হবে শেখ জামালকে। মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিকে ব্যর্থ করে ২ উইকেটে মোহামেডান জিতলেও ওঠা হলো না পরের পর্বে। অন্য ম্যাচে ব্রাদার্সকে লো স্কোরিং ম্যাচে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে শেখ জামাল।
১১ ম্যাচে পাঁচটি করে জয় ও হার, সঙ্গে একটি টাইয়ে ১১ পয়েন্টে সপ্তম দল হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলো মোহামেডান। গত কয়েক বছর ধরে শিরোপা দেখে না তারা। শেষবার খালেদ মাসুদের নেতৃত্বে ২০০৭-০৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, আর এবার ছিটকে গেলো প্রথম পর্বেই।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর। সাভারে যানজটে খেলোয়াড় ও আম্পায়াররা আটকে পড়ায় এই দেরি। আগে ব্যাট করতে নেমে কলাবাগান ৪৭.৩ ওভারে অলআউট হয় ২৬০ রানে। লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন আশরাফুল। ১২৪ বলে ১৩ চার ও ৩ ছয়ে ১২৭ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ৫০ ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটাই আশরাফুলের সেরা ইনিংস। ওয়ালিউল করিমের সঙ্গে তিনি দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ ও তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে যোগ করেন ৮২ রান।
কিন্তু কলবাগানের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যরা দ্রুত মাঠ ছাড়েন। কাজি অনিক ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে প্রতিপক্ষকে বেশি দূর এগোতে দেননি। ৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট নেন তিনি ৪৯ রানে। এই অনিকই ব্যাট হাতেও মোহামেডানকে এনে দিয়েছেন জয়।
রনি তালুকদার (৫১) ও এনামুল হকের (৫৭) ফিফটি এবং দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৯৮ রানের জুটি মোহামেডানকে ভালো শুরু এনে দেয়। এরপর ১০৭ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। শামসুর রহমান ৩৮ রানের ধীর ইনিংস খেলে যখন অষ্টম ব্যাটসম্যান হয়ে সাজঘরে যান, তখন দলটির দরকার ছিল ২৭ রান।
তাইজুল ইসলাম ও অনিক ক্রিজে থেকে ধৈর্য ধরে বাকি রান করেন। শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল মোহামেডানের। অনিক প্রথম দুটি বলেই ছক্কা মেরে দলকে জেতান। ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি এবং ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তার হাতে। তাইজুল ৩২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কলাবাগনের পক্ষে সানজিৎ সাহা তিন উইকেট নেন। সবার শেষ দল হয়ে এই আসর শেষ করলো দলটি। মাত্র দুটি জয় পেয়েছে তারা।