মাশরাফি-সাকিবদের নতুন কোচ স্টিভ রোডস

বাংলাদেশের নতুন কোচ স্টিভ রোডসদীর্ঘ ৮ মাস হন্যে হয়ে কোচ খুঁজে বেড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে বৃহস্পতিবার মিললো মাশরাফি-সাকিবদের নতুন কোচ। প্রধান কোচ হিসেবে স্টিভ রোডসের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান।

২০২০ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত ইংলিশ এই কোচকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বৃহস্পতিবার বেক্সিমকোর প্রধান কার্যালয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেন নাজমুল। সাক্ষাৎকার পর্বে রোডসের পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা মনে ধরেছে বিসিবি কর্তাদের, তাই নতুন কোচ করার ব্যাপারে খুব বেশি চিন্তা করতে হয়নি তাদের।

বিসিবি প্রধান নাজমুলের মুখে শোনা গেল তেমন কথাই, ‘স্টিভ রোডসের কাজের পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা প্রথমবারেই মনে ধরে গেছে আমাদের। তাই কোচ করার ব্যাপারে বেশি কিছু ভাবতে হয়নি আমাদের।’ বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর রোডস তার পরিকল্পনার কিছু অংশ ভাগাভাগি করেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। ক্লাব ক্রিকেটে অর্জন করা অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চান সাবেক এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক, ‘এত দিন ধরে কাজ করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা বাংলাদেশের ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথে কাজে লাগতে চাই।’

এই প্রথম কোনও জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন রোডস। দায়িত্ব নিয়েই কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। সামনেই ২০১৯ বিশ্বকাপ, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর নিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে তাকে। মাশরাফি-সাকিবদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অবশ্য চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত রোডস, ‘সামনেই ২০১৯ বিশ্বকাপ। যেহেতু ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সম্পর্কে আমার খুব ভালো করে জানা আছে, তাই দলকে সেভাবেই তৈরি করতে চাইব।’

ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ টেস্ট ও ৯ ওয়ানডে খেলেছেন রোডস। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০১০ সালে কাউন্টি দল ওস্টারশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব, ওই সময় রোডস দলটির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে কাজ করেছেন। টম মুডি দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০০৫ সালের মে মাসে ওস্টারশায়ারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন ক্লাবটির ক্রিকেট ডিরেক্টর। এবার বাংলাদেশ দিয়ে প্রথমবার কোনও জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন রোডস।