রেকর্ডের চেয়ে দলের ভালো অবস্থানে খুশি তাইজুল

তাইজুল ইসলামজিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা আবারও তাইজুল ইসলামের বলে গুঁড়িয়ে গেল। বাংলাদেশি স্পিনার নিলেন টানা তৃতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। কিন্তু ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, দলের ভালো অবস্থান উৎফুল্ল রাখছে তাকে।

সিলেটে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ৬ ও ৫ উইকেট নেন তাইজুল। ঢাকা টেস্টেও দমে যাননি তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট। এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব তার। এই রেকর্ডের পরও মাটিতে পা রাখছেন তাইজুল।

আবারও ৫ উইকেট নিলেন, তৃতীয় দিনের নায়ক তাই তাইজুল। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দুর্লভ কীর্তি গড়ার পরও উচ্ছ্বাসে গা ভাসাচ্ছেন না তিনি, ‘ভালো পারফরম্যান্স করলে প্রত্যেক ক্রিকেটারের ভালো লাগে। তবে দল আগে। সবচেয়ে বড় কথা, দল এখন ভালো অবস্থানে আছে।’

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে শুরুর ৫ ব্যাটসম্যানের চারজনই ফিরে গেছেন তাইজুলের বলে। তারপর শেষ উইকেটটি পেয়েছেন ২৬ বছরের এই বাঁহাতি স্পিনার। দেরিতে হলেও পঞ্চম উইকেটটির জন্য তিনি অপেক্ষা করেছেন শেষ পর্যন্ত, ‘হয়তো একটু বেশি (পঞ্চম উইকেট পেতে) সময় লেগেছে। আর জিম্বাবুয়ে একটা ভালো জুটি গড়েছিল। ক্রিকেটে তো জুটি হবেই। তবুও আশা ছাড়িনি।’

দলে সাকিব নেই। তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বটা পালন করতে হচ্ছে তাইজুলকে। এই বাড়তি দায়িত্বকে চাপ নয়, উপভোগ্য হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘আমি অনেক বেশি বল করার সুযোগ পাচ্ছি। সাকিব ভাই থাকলে হয়তো আমার ওপর এত দায়িত্ব পড়ত না। আমি উপভোগ করছি।’

একই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট আদায় করলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টানা চার ইনিংসে এই কীর্তির একক রেকর্ড গড়বেন তাইজুল। তাছাড়া আর ৪ উইকেট নিলে মেহেদী হাসান মিরাজকে (১৯) ছাপিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হবেন তিনি। সুযোগ আছে ২০০৩ সালে এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী মোহাম্মদ রফিককে (৩৩) পেছনে ফেলার, এজন্য তাইজুলকে নিতে হবে ৩ উইকেট।

রেকর্ড গড়ার ব্যাপারে তাইজুলকে আশাবাদী করে তুলছে উইকেটের অবস্থা, ‘আসলে উইকেটের অবস্থাটা এমন, যদি গুছিয়ে বল করতে পারি তাহলে অসম্ভব কিছুই না। আমি আশাবাদী।’

২১৮ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ চতুর্থ দিন জিম্বাবুয়েকে ফলো অনে পাঠাতে পারে। এনিয়ে দলের সিদ্ধান্ত কী, সেটা জানাতে পারেননি তাইজুল। তবে দল যে ভালো অবস্থানে সেটা মানছেন তিনি, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমরা যাই করি না কেন (ফলো অন) ভালো করলে ফলাফল ইতিবাচক হবে।’