অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে হাফিজের প্রত্যাবর্তন হয়েছিল সেঞ্চুরি দিয়ে। ইমাম উল হকের সঙ্গে দুবাইয়ে প্রথম ম্যাচে ২০৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু ১২৬ রানের দারুণ ম্যাচ খেলার পর গত ৭ ইনিংসের একটিতেও ২০ রানের কোটা পার করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের চার ইনিংসে কেবল ৩৯ রান হাফিজের, বল হাতে নেই একটি উইকেটও। মঙ্গলবার রানের খাতা না খুলেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন তিনি। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে বিদায়বেলা রাঙিয়ে দেওয়ার সুযোগ হয়তো নেবেন ৩৮ বছর বয়সী ওপেনার।
দীর্ঘ ১৫ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন হাফিজ। ২০০৩ সালে অভিষিক্ত হওয়ার পর ৫৪ টেস্ট খেলে ১০টি সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৩৬৪৪। তার ২২৪ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
আবুধাবিতে দ্বিতীয় দিন শেষে টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককে জানান হাফিজ। তারপরই ঘোষণা দেন আনুষ্ঠানিকভাবে, ‘আজ আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে আমার অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে খেলায় মনোযোগ দিতে চাই এবার। পাকিস্তানের হয়ে আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য আমার। দেশের হয়ে এই দলকে অধিনায়কত্বসহ ৫৫ টেস্ট খেলতে পেরে আমি সম্মানিত। ১৫ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে পারফর্ম করায় সন্তুষ্ট আমি।’ ক্রিকইনফো