কোহলির আউটে বিতর্কের ঝড়

হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে হতবাক কোহলিবিরাট কোহলি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, স্বস্তি ছিল না অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের মনে। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে ভারতের অধিনায়ককে ফেরায় স্বাগতিকরা। ৩২ রানে সফরকারীদের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে লিড পায় তারা। কিন্তু পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিন সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে কোহলির বিতর্কিত আউট নিয়ে।

২১৪ বলে ২৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান লাঞ্চের আগের ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে দ্বিতীয় স্লিপে পিটার হ্যান্ডসকম্বের সূক্ষ্ম ও নিচু ক্যাচ হন। থামে কোহলির ১২৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস। মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙুল তুলে তার আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

বল আঙুলের ফাঁক দিয়ে মাটি ছুঁয়েছে এমন দাবি করে কোহলি এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি, মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দেন সেটা। ‘সফট সিগন্যালে’ আম্পায়ার আউট দিলেও কয়েক মুহূর্ত পর রেফারেলের দাবি জানান ধর্মসেনা। কয়েকবার রিপ্লে দেখার পর ভিডিও আম্পায়ার নাইজেল লং বহাল রাখেন ধর্মসেনার সিদ্ধান্ত।

আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বাস হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচটা ঠিকই ছিল, ‘বলের নিচে যে হাত ছিল সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সে। সফট সিগন্যালে দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর মতো কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই।’

আউটের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তায় দুলতে থাকা মাইক হাসি বিশ্বাস করেন হ্যান্ডসকম্বকে। তার মতে, ক্যাচ না হলে অসি ক্রিকেটার কখনও আউটের জন্য উদযাপন করতেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি বলের নিচে তার আঙুলগুলো ঠিকই ছিল।’

শন মার্শ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ানদের অগাধ বিশ্বাস কোহলি আউট হয়েছেন।

সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান আকাশ চোপড়া বলেছেন, আউটের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। কিন্তু কেন আম্পায়ার সফট সিগন্যালে আউট দিলেন প্রশ্ন তার। ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহও তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন, ‘মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক হয়েছি। কিন্তু যা হওয়ার হয়েছে, এখন আমাদের সামনে তাকাতে হবে।’

হরভজন সিং প্রশ্ন ছুঁড়েছেন টুইটারে, ‘কোহলি আউট নাকি নটআউট? আপনারা কী মনে করেন?’

ভারতের ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেছেন, ‘আসল কথা হচ্ছে এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির ফল থেকে যায় অমীমাংসিত এবং সেটা সারাজীবন থাকবে। কারণ আমরা দ্বিমাত্রিক প্রযুক্তি দিয়ে ত্রিমাত্রিক মুহূর্ত দেখার চেষ্টা করছি। এতে করে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।’