টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি অতিথিরা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার শঙ্কা স্বাগতিকদের। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, এভিন লুইস, নিকোলাস পুরান, কেসরিক উইলিয়ামসের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের নিয়ে ক্যারিবীয়রা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। বিপিএল খেলার সুবাদে বাংলাদেশের উইকেট তাদের ভালোই চেনা।
তবে ঘরের মাঠে খেলা বলে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখতে হবে। কোচ স্টিভ রোডস অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে ভীষণ সতর্ক। পাশাপাশি আরেকটি সাফল্যের আশাবাদ তার, ‘টেস্ট-ওয়ানডের পর আমাদের পক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাও সম্ভব। সেজন্য দলের প্রত্যেককে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। তা হলেই এই ফরম্যাটে সাফল্য আসবে।’
বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সাফল্য। জুলাই-আগস্টে ক্যারিবিয়ান সফরে প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছিল টাইগাররা। দারুণ একটা অর্জনের হাতছানিও রোডসের শিষ্যদের সামনে। এর আগে কখনও কোনও দলকে একই সিরিজে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে টেস্ট আর ওয়ানডের সাফল্য ২০ ওভারের ক্রিকেটেও ধরে রাখতে উন্মুখ টাইগাররা।
আগস্টে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলা রুবেল হোসেন ও নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায় আজ মাঠে নামতে পারেন সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ না পাওয়া আরিফুল হককেও দেখা যেতে পারে একাদশে। আরিফুল অবশ্য ফ্লোরিডায় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অন্তত টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য নিয়ে ফিরতে চাইছে। অতিথিদের অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘আমরা সমর্থকদের বড়দিনের উপহার দিতে চাই, জয় দিয়ে বছরটা শেষ করতে চাই। টি-টোয়েন্টি তো আমাদেরই ক্রিকেট। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ফল ভালো নয়।’ আক্রমণাত্মক ওপেনার এভিন লুইসকে দলে পেয়ে দারুণ খুশি তিনি, ‘গত ১৮ মাসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এভিন তিনটি সেঞ্চুরি করেছে। আশা করি, তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং আমাদের সিরিজ জয়ের পথে এগিয়ে দেবে।’
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি নিয়েও সিলেটের মানুষের মধ্যে উন্মাদনা। টিকিটের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে একেবারে। রবিবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। আজ এই ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে বাংলাদেশ?