উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ

মোস্তাফিজউদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। মোস্তাফিজুর রহমান ভাঙলেন তাদের জুটি, নিকোলসকে আউট করে। তার বিদায়ে ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২৭ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৯ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান।

বাংলাদেশকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। গাপটিল আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করলেও নিকোলস ছিলেন সাবধানী। এরপরও বেশিদূর যেতে পারেননি এই ওপেনার। বল হাতে তুলে নিয়ে প্রথম ওভারেই তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন মোস্তাফিজ। এই পেসারের শর্ট বলে ডিপ স্কয়ার লেগে নিকোলস ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।

মিঠুনের হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রান ২২৬

ওপেনিংয়ের সমস্যা কাটলো না, টপ অর্ডারের ব্যর্থতা থেকেই গেল- বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নেপিয়ারের ম্যাচটাই যেন ফিরে এলো ক্রাইস্টচার্চে। যেখানে বিপদের সময় আরেকবার হেসে উঠলো মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট। তার হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে সাব্বির রহমানের প্রতিরোধে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারীরা ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে ২২৬ রানে।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি হেরে যাওয়ায় ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ নেমেছে সিরিজ বাঁচাতে। যদিও এই মিশনে দেখা মিলল সেই ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়েরই। তাই প্রথম ম্যাচের চেয়ে কম স্কোরে অলআউট হতে হলো বাংলাদেশকে। লিটন দাস (১) ও তামিম ইকবাল (৫) তাদের ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেননি। আগের ম্যাচের স্কোর করেই তার ফেরেন প্যাভিলিয়নে। সৌম্য সরকার (২২) ও মুশফিকুর রহিম (২৪) ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহও (৭) বেরোতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে।

৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছে, তখন আরেকবার ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত মোহাম্মদ মিঠুন। নেপিয়ারের মতোই দলকে টেনে তোলেন হাফসেঞ্চুরি করে। তার ৫৭ রানের সঙ্গে সাব্বির রহমানের ৪৩ রানে ভর দিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ২০০ ছাড়ায়। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৩ ও সাইফউদ্দিন করেন ১০ রান। আর মোস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।

বাংলাদেশকে অল্পতে আটকে রাখার পথে ‍কিউইদের সবচেয়ে সফল বোলার লুকি ফার্গুসন। এই পেসার ৪৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট পেয়েছেন জিমি নিশাম ও টড অ্যাস্টল।