তামিমেরও একই প্রশ্ন, কেন পারছে না বাংলাদেশ?

নিউজিল্যান্ডে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তামিমনিউজিল্যান্ডে এটা পঞ্চম সফর বাংলাদেশের। আগের চারটি সফরে জয় তো দূরের কথা, কোনও ম্যাচে সেভাবে লড়াই করতেও পারেনি টাইগাররা। এবারও প্রথম দুটো ওয়ানডেতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মাশরাফির দল। কিউইদের মাটিতে কেন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে দল? দেশের অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তের মতো তামিম ইকবালের মনেও একই প্রশ্ন।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয় অধরা থাকলেও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কিউই বধ করেছে বাংলাদেশ। দুটো জয়ের স্মৃতি তো এখনও টাটকা। ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগাররা হারিয়েছিল কিউইদের। এর ঠিক দু সপ্তাহ বাদে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং বীরত্বে হার মেনেছিল নিউজিল্যান্ড।

অথচ নিউজিল্যান্ড সফরে গেলেই কী যেন হয়ে যায় বাংলাদেশের! কী হয় তার ব্যাখ্যা নেই তামিমের কাছেও। সোমবার ডানেডিনে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন,  ‘আমরা নিউজিল্যান্ডে পাঁচটা সফর করে ফেললাম। কিন্তু এখানে জিততে না পারার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। এই কন্ডিশনে জিততে পারলে বিশ্বকাপে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবো। কিন্তু আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। অথচ এই দলটাকে আমরা আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে হারিয়েছি। আমি বাংলাদেশে বলে এসেছিলাম, নিউজিল্যান্ড এমন একটা দেশ যেখানে আমরা কখনও জিততে পারিনি। জয় তো দূরের কথা, প্রথম দুই ওয়ানডেতে কোনও  প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি।’

এবারের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তামিম বললেন, ‘দুটো ওয়ানডেতেই উইকেট খুব ভালো ছিল। কিন্তু আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে ৪/৫ উইকেট হারিয়ে ফেললে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি ও আবহাওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ড কিছুটা সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু আমরা একই ভুল আবারও করেছি।’

অতীতের ব্যর্থতা ভুলে আগামী বুধবার শেষ ওয়ানডেতে সাফল্য পেতে আশাবাদী দেশসেরা ওপেনার, ‘প্রথম ১০ ওভারে উইকেট হারানো চলবে না। শুরুতে টিকে থেকে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। তাহলে মাঝের ওভারগুলোতে ওদের চাপের মধ্যে রাখা যাবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভালো করার সামর্থ্য আছে। আশা করি, নতুন ম্যাচ নতুনভাবে শুরু করতে পারবো।’