অস্ট্রেলিয়ার ২৮৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করে ৩৭৪ রান। ৯০ রানের লিড নিয়ে ইংল্যান্ড ভালোই শুরু করেছিল। কিন্তু স্মিথ দাঁড়িয়ে যান। তার লড়াকু ইনিংসে ৩ উইকেটে ১২৪ রানে শনিবারের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন স্মিথ। ১২২ রান করতেই ৮ উইকেট পড়ে যাওয়া দলটি ম্যাচে ফেরে তার ১৪৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ব্যাট করতে নামলেন দলীয় স্কোর ২৭ রানে। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৮ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট ৭ রানে আউট হলে স্মিথ হাল ধরেন উসমান খাজাকে নিয়ে। তাদের ৪৮ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে বেন স্টোকসের বলে। ৪০ রানে জনি বেয়ারস্টোকে পেছনে ক্যাচ দেন খাজা।
এরপর ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন স্মিথ। সাবেক অধিনায়ক ৬১ বল খেলে ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন। ২১ রানে খেলছিলেন হেড।
স্টোকসের সঙ্গে মঈন আলী ও স্টুয়ার্ট ব্রড একটি করে উইকেট নেন ইংল্যান্ডের হয়ে।
এর আগে ৪ উইকেটে ২৬৭ রানে দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ৯৫ বলে ৮ চারে হাফসেঞ্চুরি করার পরের বলেই স্টোকস শিকার হন প্যাট কামিন্সের। নাথান লায়নের জোড়া আঘাতে টালমাটাল হয়ে ওঠে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন। ররি বার্নসের ৩১২ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস থামে অজি স্পিনারের কাছে। মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে এদিন ৪ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
৩০০ রানে ৮ উইকেট হারানো দল সন্তোষজনক লিড নেয় ক্রিস ওকস ও ব্রডের ৬৫ রানের জুটিতে। ব্রড ২৯ রানে কামিন্সের কাছে আউট হলেও ওকস ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। জেমস অ্যান্ডারসনকে ৩ রানে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন লায়ন। অজি স্পিনার সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। তার সমান উইকেট শিকার করেন কামিন্স। দুটি করে পান প্যাটিনসন ও পিটার সিডল।