প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নিয়ে কেমন লাগছে?
ডোমিঙ্গো: সত্যিই ভালো লাগছে। আমি সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠেছি। মাঠে আসতে ২০ মিনিট সময় লেগেছে। সকালে কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেকেই ক্যাম্পে নেই। মারিও কয়েকদিন ধরে ছেলেদের নিয়ে কাজ করেছে। এতো সকালে ছেলেদের পরিশ্রম করতে দেখে ভালো লেগেছে। এখনো দ্বিতীয় সেশন চলছে। তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন: আপনি আপনার প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশ নিয়ে কী কী পরিকল্পনা দিয়েছেন?
ডোমিঙ্গো: এটা সত্যিই অদ্ভুত। প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে জানতে চাইছে। দেখুন, যেহেতু আমি বিভিন্ন স্তরের দলের সঙ্গে কাজ করেছি। বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে, ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের-সব স্তরেই আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমি জানি কীভাবে কোন পদ্ধতি কাজ করে। সত্যি বলতে আমি কোচিংয়ের পদ্ধতির ব্যাপারে খুবই সচেতন। আমি মনে করি এটা জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়েই করতে হবে। সত্যি বলতে প্রেজেন্টেশনটি ছিল- কী করে জাতীয় দলের প্লেয়ারদের আরও উন্নতি করা যায় এবং একটি টেকসই উন্নয়নের পথে দলকে নিয়ে যাওয়া যায়। আশা করি এ ব্যাপারে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিল, কিন্তু বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সফরে হতশ্রী বাংলাদেশকে দেখা গেছে-এই মুহূর্তে আপনার জন্য কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জের?
প্রশ্ন: আপনার প্রাথমিক লক্ষ্য কী?
ডোমিঙ্গো: আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। আগামী দুই সপ্তাহ আমাকে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জানতে হবে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আমার মনে হয় এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। আগামী কয়েকদিন আসলে একটা পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকতে চাই।
প্রশ্ন: আপনি নির্বাচক প্যানেলে আছেন, সেক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেট দেখার সুযোগ কতটা পাবেন?
ডোমিঙ্গো: আফগানিস্তান সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের পর ভাবছি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ‘এ’ দলের খেলা দেখতে শ্রীলঙ্কায় যাবো। যদিও প্রতিটি ম্যাচ দেখা সম্ভব না। তবে আমাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমার আশপাশে যে মানুষগুলো আছে তারা বিশ্বস্ত। যেমন নির্বাচক যারা দল গঠনে পরিশ্রম করবে, হাই পারফরম্যান্স কোচ, ‘এ’ দলের কোচ। যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড় সরবরাহ করবে তাদের সান্নিধ্যে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের কোচ হিসেবে চাপ সামলানো কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে?
ডোমিঙ্গো: আমি ৫ বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে কাজ করেছি। সেখানেও বিপুল প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশেও তাই। তবে আমি রোমাঞ্চিত। প্রত্যাশার চাপ নিতে আমি অভ্যস্ত। গত দুই বছর ধরে ওদের মূল দলের সঙ্গে ছিলাম না। ‘এ’ দল নিয়ে কাজ করেছি। কোচ হিসেবে আমি সব সময়ই চাপ উপভোগ করি। আমরা যদি আগেই জেনে যাই যে আমরা সব ম্যাচ জিতবো, তাহলে সেটা হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। চাপ ও চ্যালেঞ্জের সঙ্গে উপভোগের বিষয়টিও জড়িত।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম