পাল্লেকেলেতে টস জিতে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে করে ১৭৪ রান। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে আগামী মঙ্গলবার।
শ্রীলঙ্কাকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৪১ রানে। মাত্র ৪.৩ ওভারের এই ঝড়ো জুটি ভেঙে দেন টিম সাউদি। ১১ রানে বিদায় নেন কুশল পেরেরা।
কুশল মেন্ডিস বেশিক্ষন সঙ্গ পাননি অভিষ্কা ফের্নান্ডোর (১০)। ১৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর নিরোশান ডিকবেলার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে দাঁড়িয় যান কুশল মেন্ডিস। ক্রিজে থেকে তারা দুজনে মিলে ৬৩ রান যোগ করেন। ৩৫ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করা কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করে স্বস্তি ফেরান সাউদি। ৫৩ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সেরা ৭৯ রানে মার্টিন গাপটিলের ক্যাচ হন লঙ্কান ওপেনার।
কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন সাউদি।
অধিনায়ক মালিঙ্গা ইনিংসের চতুর্থ বলে কলিন মুনরোকে বোল্ড করেন। এই ধাক্কায় টপ অর্ডার কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়। ৩৯ রানের মধ্যে আরেক ওপেনার গাপটিল (১১) ও সেইফার্ট (১৫) ফিরে যান।
ডি গ্র্র্যান্ডহোমকে সঙ্গে করে এরপর জ্বলে ওঠেন টেলর। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিং চাপে ফেলেছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু মালিঙ্গা তার তৃতীয় ওভারে ব্রেক থ্রু আনেন ঝড় তোলা ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে। ২৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৪৪ রানে ফেরেন কিউই ব্যাটসম্যান। ৩৮ বলে ৭৯ রানের জুটিটি ভেঙে মালিঙ্গা টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ বোলারের আসনে বসেন। ৯৯তম উইকেট নিয়ে তিনি পেছনে ফেলেন শহীদ আফ্রিদিকে (৯৮)।
টেলর ফিরে যাওয়ার পরপর নামে বৃষ্টি। তাতে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচ বন্ধ থাকে। এরপর মাঠে নেমে মিচেল স্যান্টনার ও ড্যারি মিচেল সব শঙ্কা দূর করে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নেন। ২০ বলে ২ ছয়ে ২৫ রানে টিকে ছিলেন মিচেল। তার সঙ্গে ১৬ বলে ৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়তে ১৪ রানে টিকে ছিলেন স্যান্টনার। তার ৭ বলের ইনিংসে ছিল একটি ছয়।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে মালিঙ্গা ও হাসারাঙ্গা সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।