বুধবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের সামনে নিশ্চয়ই মজার অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে! সানরাইজার্স হায়দরাবাদে সাকিবের সঙ্গে দুটো দুর্দান্ত বছর কাটিয়েছি। আমরা খুব ভালো বন্ধু, তাই মাঠের ভেতরে আর বাইরে সময়টা ভালো কাটে আমাদের। টেস্টে সাকিবের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনায় আমি রোমাঞ্চিত। ম্যাচের প্রত্যেক মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার সকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস করতে নামার সময় একটা রেকর্ড সঙ্গী হবে রশিদের। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের টাটেন্ডা টাইবুর (২০ বছর ৩৫৮ দিন)। টাইবুর চেয়ে ৮ দিন কম বয়সে রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার সামনে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত আফগান অধিনায়ক, ‘এটা আমার জন্য বিশাল অর্জন। এত কম বয়সে স্বদেশকে নেতৃ্ত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত। নিজের দায়িত্ব শতভাগ পালন করার চেষ্টা করবো।’
চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে রশিদের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে এই টেস্টে। তবে উইকেটের জন্য স্পিনারদের সঠিক জায়গায় লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করতে হবে। একটা ব্যাপার নিশ্চিত, দুই দলের ব্যাটসম্যানদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। যে দলের ব্যাটসম্যানরা মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলতে পারবে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরাই পার্থক্য গড়ে দেবে চট্টগ্রামে।’
বাংলাদেশের ১১৪টি টেস্টের বিপরীতে আফগানিস্তান মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছে। অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকলেও ভালো খেলতে আত্মবিশ্বাসী রশিদ, ‘টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় চট্টগ্রামে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। টেস্ট ক্রিকেটের মূল বিষয় হলো ধৈর্য। ২০০ ম্যাচ খেলুন বা ৩০০ ম্যাচ, প্রতিটি ম্যাচই আপনাকে নতুন করে শুরু করতে হবে।’
সবশেষে দলের ওপর আস্থা রেখে অতিথি অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমরা ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেছি। তাই আমাদের কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা আছে টেস্ট ক্রিকেটে। আফগানিস্তান দলে কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা আছে আমাদের। ঠাণ্ডা মাথায়, ধৈর্য নিয়ে খেলতে পারলে আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ফল করা সম্ভব।’