নবাগত দল হিসেবে আফগানদের ব্যাটিং সবার বাহবা কুড়িয়েছে। আমাদের স্পিন বোলিং আক্রমণের ভালো ডেলিভারিগুলো খেলার ব্যাপারে তারা তাদের দারুণ স্কিল ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। আজ রহমত শাহ ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু ইব্রাহিম জাদরান ঠিকই বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন। আসগর আফগান তার ৫০টি তুলে নিয়ে এই টেস্টে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন। তার ব্যাটিং দেখে কখনোই মনে হয়নি যে, তিনি কোনও ধরনের চাপের মাঝে ব্যাট করছেন। আফগান ব্যাটসম্যানদের ফ্রন্টফুটের পাশাপাশি ব্যাকফুটের ওপর নির্ভর করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা আমাদের নজর কেড়েছে।
পক্ষান্তরে তৃতীয় দিনের সকালে আরেকটু ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং আশা করেছিলাম তাইজুল ইসলামের কাছ থেকে, তার আক্রমণাত্মক শট খেলার চেয়ে পিচে টিকে থাকার কাজটার দিকে বরাবরের চেষ্টাই দেখতে চেয়েছিলাম। বল হাতে আফগান স্পিনাররা ঈর্ষা জাগানোর মতোই বল করেছেন।
আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের শুরুটা দারুণ করলেন দলনায়ক সাকিব, কিন্তু অন্য কোনও বোলার একই সময়ে উইকেট তুলে নিতে না পারায় প্রাথমিক চাপটা ঠিকই আফগানিস্তান মোকাবিলা করে উল্টো চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে।
এই পিচের আচরণ আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে তৃতীয় দিনে, বল গড়ে ৫ ভাগ টার্ন করেছে। তবে চতুর্থ দিনে আফগান রিস্ট স্পিনাররা টার্নটা হয়তো একটু বেশি পাবেন, তাদের পেসার ইয়ামিন আহমদজাই তার ফুটমার্ক থেকে কিছু ক্ষতের সৃষ্টি করবেন, যা আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে পারে। এছাড়া বল লাফিয়ে ওঠা বা নিচু হওয়ার প্রবণতা এই পিচে থাকবে না বলে আমার বিশ্বাস।
ইতোমধ্যে ৩৭৪ রানে এগিয়ে গেছে আফগানরা এবং কিছু রান আরও যোগ হতে পারে। কঠিন এক অবস্থায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। চলমান তিন ইনিংসে কোনও কিছুই আমাদের মনমতো হয়নি। তাই চতুর্থ ইনিংসে গিয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করাটা মুশকিল, তবে অসম্ভব নয়। এত বড় রান চেজ করে জিততে হলে তিন-চারটি বড় পার্টনারশিপ খুবই প্রয়োজন। সেই মানসিক প্রস্তুতি আজ রাতেই খেলোয়াড়দের নিতে হবে, কারণ এই ম্যাচ জিততে হলে যে পঞ্চম দিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই করতে হবে।