‘পাকিস্তান সফর নিয়ে সব সংশয় কেটে গেছে’

করাচিতে ভালো সময় কেটেছে রত্নায়েকের (ডানে)নির্বিঘ্নে শেষ হলো শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফর। নিরাপত্তা সংশয়ে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে স্বাগতিকদের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করলো লঙ্কানরা। বুধবার ১৩ রানে শেষ টি-টোয়েন্টি জেতার পর পাকিস্তানের আতিথেয়তায় মুগ্ধতার কথা জানালেন সফরকারী কোচ রুমেশ রত্নায়েক। দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, এই সফল সফর ভবিষ্যতে অন্য দলকে পাকিস্তানে যেতে প্রভাবিত করবে।

করাচি ও লাহোরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডেতে ২-০ তে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশে জিতেছে তারা। এই সফর কোনও বাধাবিঘ্ন ছাড়া শেষ হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে রত্নায়েক বলেছেন, ‘এই সফর পুরো বিশ্বের জন্য একটা বার্তা, বিশেষ করে ভবিষ্যতের শ্রীলঙ্কানদের জন্য। এটা খুব নির্বিঘ্নে শেষ হলো। পাকিস্তানে আমাদের খেলা অন্য দেশগুলোকেও এখানে আসতে উৎসাহিত করবে।’

পাকিস্তানের আতিথেয়তায় মুগ্ধ শ্রীলঙ্কা কোচ, ‘পাকিস্তানের এমন আতিথেয়তা পাওয়া সত্যিই দারুণ ব্যাপার। অনেক দিন পর এমন অভিজ্ঞতা হলো, এমনকি অনেক ভালো। আমাদের এখানে আতিথেয়তা দিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অভাবনীয়। আমাদের কয়েকজন সংশয়ে থাকলেও আমি প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কিন্তু এখন সব সংশয় কেটে গেছে, এটা বাস্তবায়ন করায় আপনাদের ধন্যবাদ।’

রত্নায়েকের বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা একসময় টেস্টও খেলবে পাকিস্তানের মাটিতে। পাকিস্তান সফর বয়কট করা লঙ্কান খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘এখানে খেলা নিরাপদ। আমরা এটা তাদের কাছে ব্যাখ্যা করবো। তারা হয়তো দেখেছেও। আমরা যতখানি সম্ভব তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবো। কিন্তু কাউকে জোর করবো না। আশা করি এই সিরিজ সফল হওয়ায় তারা মন পাল্টাবে।’

পাকিস্তানে ৭ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা সাবেক এই লঙ্কান খেলোয়াড় বলেছেন, “৩০ বছর আগের মতোই দর্শক উপস্থিতি ছিল, কিছু পাল্টায়নি। তাদের হাতে ‘স্বাগতম শ্রীলঙ্কা’ লিখা ব্যানার আমার মনকে স্পর্শ করেছে। তাদের ভালোবাসা ছিল আপ্লুত করার মতো।’