দুর্নীতির অভিযোগে আরব আমিরাতের তিন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ

নিষিদ্ধ হয়েছেন দিনকয়েক আগে অধিনায়কত্ব হারানো মোহাম্মদ নাভিদক্রিকেটের গায়ে আরেকবার লাগলো কলঙ্কের কালি। এবার দুর্নীতির অভিযোগে শিরোনামে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বুধবার দেশটির অধিনায়ক মোহাম্মদ নাভিদ ও আরও দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই সঙ্গে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতিযোগিতাটি শুরুর একদিন ‍আগে আয়োজক দেশটির ক্রিকেট কেঁপে উঠলো দুর্নীতির ঝড়ে। আইসিসির দুর্নীতির বিরোধী নিয়ম ভাঙার অভিযোগে অধিনায়ক নাভিদ, ব্যাটসম্যান শাইমান আনোয়ার ও ডানহাতি পেসার কাদির আহমেদকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এদের সঙ্গে আজমান দলের মেহেরদীপ ছায়াকরের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি।

দিনকয়েক আগে আমিরাতের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নাভিদকে। তখন তার কাছে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। তবে বুধবার আইসিসির সাময়িক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর পরিষ্কার হয়েছে ‘আসল’ কারণ।

নাভিদ ও শাইমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পরিকল্পনার সঙ্গে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের (আকসু) কাছে ফিক্সিং প্রস্তাবের বিস্তারিত না জানানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নাভিদের বিরুদ্ধে রয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুটি নিয়ম ভাঙার অভিযোগ। সামনের টি-টেন লিগেও ম্যাচ পাতানোর পরিকল্পনায় ছিলেন তিনি।

অন্যদিকে গত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেটি গোপন করায় অভিযুক্ত হয়েছেন কাদির। আর মেহেরদীপের বিরুদ্ধে রয়েছে আকসুকে তদন্তে সাহায্য না করার অভিযোগ।

২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়ায়। এই প্রতিযোগিতায় জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যে শুক্রবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে বাছাই পর্ব। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আয়োজক দেশটিতে লাগলো বড় ধাক্কা। ক্রিকইনফো