এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার হয়ে ভালোই পারফরম্যান্স আল আমিনের। রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিয়েছেন তিন উইকেট। রাজশাহীর সঙ্গে চলমান ম্যাচে তার শিকার পাঁচটি। এর মধ্যে শনিবার চার উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে দিয়েছেন ১৭০ রানে।
অনেকদিন পর বল হাতে জ্বলে উঠে আল আমিন উচ্ছ্বসিত। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘মানুষ তো ভুল করে, আমিও করেছি। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝিনি। কিন্তু এখন নিজেকে শুধরে ফেলেছি। সব কিছু নতুনভাবে শুরু করতে চাই, আগে যা করেছি সব ভুলে যেতে চাই। ভুল করলে মানুষ তো সমালোচনা করবেই। তবে নিজেকে শুধরে আমি এখন অনেক সুশৃঙ্খল। আগের ভুল যেন আর না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে।’
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ সাড়ে তিন বছর আগে, ভারতের মাটিতে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ভালোই পারফরম্যান্স ছিল তার। তবে ২৭ রানে দুই উইকেট নিলেও জাতীয় দলের জার্সিতে আর মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। কাকতালীয়ভাবে, সেই ভারতেই আল আমিনের সামনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার হাতছানি।
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে দারুণ খুশি ২৯ বছর বয়সী এই পেসার, ‘বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সব সময়ই আনন্দ আর গর্বের বিষয়। জাতীয় দলের বাইরে থাকতে খুব খারাপ লাগে। আশা করি, নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারবো।’
গত কয়েক বছরে জাতীয় দলে খেলা বেশ কয়েকজন পেসার এখন আলোচনায় নেই। আল আমিন ভালো করেই জানেন, সুযোগ পাওয়ার চেয়ে দলে টিকে থাকা অনেক বেশি কঠিন। সেই ভাবনা থেকে তার উপলব্ধি, ‘আমি জানি, জাতীয় দলে টিকে থাকা এখন কতটা কঠিন। তাই আমার লক্ষ্য, প্রথম সুযোগটাই কাজে লাগানো। সেটা না করতে পারলে হয়তো দ্বিতীয় সুযোগ আর পাবো না।’
তিন ফরম্যাটের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আল আমিনের সবচেয়ে বেশি (২৫ ম্যাচে ৩৯ উইকেট) সাফল্য। দল ঘোষণার আগে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের উপদেশ মেনে চলার সুফল পেয়েছেন তিনি, “সুমন ভাই একদিন আমাকে বলেছিলেন, ‘সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিজেকে প্রস্তুত রাখিস। ফিটনেস থেকে শুরু করে সব কিছু যেন ঠিক থাকে। তাহলে যে কোনও সময় সুযোগ আসতে পারে।”
হাবিবুলের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকদিন পর জাতীয় দলে আল আমিন। হতাশার অতীত ভুলে এবার এগিয়ে যেতে চান তিনি।