টেস্ট আঙিনায় সবশেষ যোগ হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। নবীন দুই দেশ বাদ দিয়ে পুরোনোদের মধ্যে কেবল বাংলাদেশ ও ভারত খেলেনি দিবা-রাত্রির টেস্ট। অপেক্ষাটা এবার শেষ হচ্ছে ইডেন টেস্ট দিয়ে। এই ম্যাচ ঘিরে ভারতের সব ক্রিকেটার ‘খুবই উতলা’ হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক কোহলি।
স্বাভাবিকভাবেই কোহলিরও অভিজ্ঞতা নেই গোলাপি বলে খেলার। তবে ইডেন টেস্টে নামার আগে গোলাপি বল দেখে তার মনে হয়েছে, বোলাররা ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। বিশেষ করে, পেসাররা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন বলে ধারণা কোহলির। ইন্দোর টেস্টের আগে ভারতীয় অধিনায়ক কথা বলেছেন কলকাতা টেস্ট নিয়ে।
ভারতীয় অধিনায়কের বক্তব্য, ‘বোলাররা যদি পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পায়, তাহলে ম্যাচ হবে তাদের, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের। শিশিরে পুরোনো (গোলাপি) বলের আচরণ কেমন হয়, সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। সেই হিসেবে পুরোনো বল কেমন হয়, সেটা দেখাটা হবে আকর্ষণীয়।’
গোলাপি বলে অনুশীলনে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন কোহলি এভাবে, ‘বেশ উত্তেজনাকর ব্যাপার। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেটে নতুন উন্মাদনা যোগ করছে (দিবা-রাত্রি টেস্ট)। আমরা সবাই মুখিয়ে আছি। গতকাল (মঙ্গলবার) আমি গোলাপি বলে অনুশীলন করেছি; আমার মনে হয়েছে, লাল বলের সঙ্গে তুলনা করলে এটি অনেক বেশি সুইং করে। কারণটা হলো বলের ওপর বাড়তি বার্ণিশ করা অংশ, তাছাড়া সেলাইও কিছুটা বড়।’
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় গোলাপি বলের টেস্ট। ওই ম্যাচের পর বেশিরভাগ সময় টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিল ভারত। গত বছরের অস্ট্রেলিয়া সফরে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার কথা শোনা গেলেও ভারত রাজি ছিল না। তবে সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ভারত খেলতে যাচ্ছে প্রথম টেস্ট।
ভারতের নতুন অধ্যায়ে পথচলায় প্রস্তুত কোহলি, ‘এর আগে আমি কখনও গোলাপি বলে খেলিনি। আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, আমিও নিতে চেয়েছিলাম, গোলাপি বলে খেলার পেছনে এটাই ভূমিকা পালন করেছে। লাল বল খেলতে খেলতে হঠাৎই গোলাপি বলে খেলতে গেলে আপনাকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাছাড়া এখানে কাজের ধরনটাও কিছুটা আলাদা।’
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ইন্দোরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেনে শুরু হবে দুই দেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। ক্রিকইনফো