বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে হংকংয়ের করা ১৬৪ রান মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২৪.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। সৌম্য ৭৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে, আর তার ওপেনিং সঙ্গী নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান।
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন হংকংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ব্যাটিংয়ে নেমে হংকং নির্ধারিত ওভারে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি। সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনও সমস্যাই হয়নি বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পায় তারা।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া নাঈম ও অভিজ্ঞ সৌম্য মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৯৪ রান। ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮১ রানের ইনিংস খেলা নাঈম থামেন ৫২ রানে। ৫২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৮ বাউন্ডারিতে।
বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক শান্ত ও সৌম্য। সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৮৪ রানের ইনিংস। ৭৪ বলের ঝড়ো ইনিংসটি এই ওপেনার সাজান ৯ চার ও ৩ ছক্কার। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ২২ বলে ২২ রানে।
হংকংয়ের এহসান খান বাংলাদেশের হারানো একমাত্র উইকেটটি নামের পাশে যোগ করেন।
এর আগে পেসার সুমন খান ও স্পিনার মেহেদেী হাসানের চমৎকার বোলিংয়ে হংকং ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান করতে পারে। হারুন আরশাদের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান, আর অধিনায়ক আজিজ খান করেন ২৫ রান।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার সুমন খান। তিনি ৩৩ রান খরচায় তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান ২টি এবং আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।