রবিবার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ‘ডি-রকস্টার’ শুভ ও ‘পাওয়ার ভয়েস’ তারকা রেশমি মির্জার গানে। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস। তবে প্রত্যাশা পূরণ না করে মাত্র চারটি গানেই শেষ করেন তার পর্ব। তার বিখ্যাত গান সুলতানা-বিবিয়ানা দিয়ে মঞ্চ মাতানো শুরু করেছিলেন। এই গানের শেষ দিকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বক্সের সামনে তার জন্য নির্মিত ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুভ উদ্ধোধন করেন জাতির জনকের কন্যা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের ঘোষণার পরপরই মিরপুরের আকাশে আতশবাজির লাল-নীল আলোর খেলা চলে। এই পর্ব শেষ হতেই ফের মঞ্চে ওঠেন জেমস। এরপর একে একে তিনটি গান গেয়ে বিদায় নেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তার বিদায়ের পর উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হতাশা ভর করে। ‘ওয়ান মোর, ওয়ান মোর’ বলে দর্শকরা চিৎকার করে ওঠেন।
তার গানের তালে তালে গ্যালারির পাশাপাশি মাঠে দর্শকদের ফ্লাশলাইটও জ্বলে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীও তার গান মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী শেখ হাসিনা। সনুর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দশ মিনিটের মতো লেজার শো হয়।
এরপর ‘আল্লাহকে বান্দে’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন কৈলাশ খের। ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, রইবো না আর বেশি দিন তোদের মাজারে’-এই গানটি দরদ ভরা কণ্ঠে গান তিনি। সনুর পর তিনিও বাংলাদেশি দর্শকদের মন জয় করে নেন গানে গানে।
এই পরিবেশনার পর ফের দুজন মঞ্চে আসেন। বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে নিয়ে কথা বলেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা। এই পর্ব শেষ হতেই একটি ডুয়েট গানের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। যিনি একই সাথে বাংলাদেশের একজন গায়ক এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা।