মুশফিক-ঝড়ের পরও খুলনার হার

ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতেও দলকে জেতাতে পারেননি মুশফিকসতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে আরেকবার জ্বলে উঠলো মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। মাত্র ৩৩ বলে খেললেন ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবু জেতাতে পারলেন না খুলনা টাইগার্সকে। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের কাছে ১২ রানে হেরেছে মুশফিকরা।

আসিফ আলীর ১৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানে ২০ ওভারে ঢাকা ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১৭২ রান। কঠিন লক্ষ্যে মুশফিক লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। ২০ ওভারে খুলনা করতে পারে ৮ উইকেটে ১৬০ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ৪৫ রান। ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ২৩ বলে ২৫ রান করে ঢাকার প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ আমিরের আঘাতের পর শফিউল ইসলাম তুলে নেন আরেক ওপেনার এনামুল হকের (১৫) উইকেট। খানিক পর আমিনুল ইসলামের ঘূর্ণিতে মাত্র ১ রানে আউট মেহেদী হাসান।

৬২ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকাকে টেনে তোলেন মুমিনুল হক ও আরিফুল হক। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর বাড়িয়ে নেন তারা। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করা মুমিনুলের আউটের সময় ঢাকার রান ১৫০ পর্যন্ত যায় কিনা, সেটাই ছিল সংশয়। যদিও আসিফ আলীর ঝড়ে শুধু দেড়শ ছাড়ালো না, ঢাকার রান পৌঁছে যায় ১৭২-এ।

পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আক্ষরিক অর্থেই ঝড় তুলেছিলেন। মাত্র ১৩ বলে খেলেন হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস। বিধ্বংসী ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ৪ ছক্কায়। অন্যদিকে আরিফুল ৩০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে।

মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট শিকার শফিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলামের।

খুলনার ওপেনিংয়ে ছিল চমক। মেহেদী হাসান মিরাজ আগে থেকেই ছিলেন ওপেনারের ভূমিকায়, এই ম্যাচে তার সঙ্গী লেগ স্পিনার আমিনুল। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের ভূমিকায় খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তার শুরু হয়েছে শুধুই বোলার হিসেবে। খুলনা অধিনায়ক মুশফিকের বাজি অবশ্য কাজে আসেনি। মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আমিনুল। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান মিরাজও (১৫)। শামসুর রহমান (৩) ও রাইলি রুশো (১৮) তাদের পথে হাঁটলে ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারায় খুলনা।

ওই জায়গা থেকে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে লড়াই করেছেন মুশফিক। নাজিবউল্লাহ ২৯ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও মুশফিক আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন খুলনার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেও অবশ্য দলকে জয়ের গন্তব্যে নিতে পারেননি। ৩৩ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

ঢাকার সবচেয়ে সফর বোলার হাসান মাহমুদ। ২০ বছর বয়সী পেসার ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি মুর্তজা, শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা।