আজ (সোমবার) বাংলা ট্রিবিউনকে আকবরের বাবা মোস্তফা জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি তার বড় বোন খাদিজা বেগম জমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা যান। সে সময় পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের খেলা। ওই মুহূর্তে আকবরকে দুঃসংবাদ দেওয়াটা ঠিক মনে করেননি মোস্তফা, ‘আমাদের একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশের জন্য খেলতে গেছে এবার হয়তো বিশ্বকাপ জয় করে বাড়িতে ফিরবে। সে কারণে বুকে পাথর বেঁধে নিজেদের সামলানোর চেষ্টা করেছি আমরা।’
আকবরের মা শাহিদা বেগম মেয়ের শোকে ছিলেন পাথর। ছেলের সাফল্যে আবার হাসি ফিরেছে। বিশ্বজয়ী ছেলেকে নিয়ে তার গর্বের শেষ নেই, ‘আমার ছেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতেছে। এজন্য আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। সবার কাছে ওর জন্য দোয়া চাই। এমন ছেলেকে জন্ম দিতে পেরে আমি গর্বিত।’
২০১২ সালে দেশের সেরা ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ভর্তি হন। তারপর শুধুই তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প। বিকেএসপির বয়সভিত্তিক দলে খেলে সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও হতে থাকে সমানতালে।
শুধু ক্রিকেট নিয়েই অবশ্য পড়ে থাকেননি আকবর। পড়াশোনাটাও দারুণভাবে করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে তার এসএসসি পরীক্ষার সময় চলছিল প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। তখন খেলা ও লেখাপড়া দুটিই সামলেছেন দারুণ মনোযোগে। এসএসসিতে জিপিএ-ফাইভ পান তিনি। এইচএসসিতে ৪.৪২।