‘ক্রিকেট খেলার ধরন পাল্টে দিয়েছেন তিন ব্যাটসম্যান’

সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইনজামাম মনে করেন এমনটাসময়ের পালা বদলে ক্রিকেটে এসেছে নানা পরিবর্তন। নিয়ম তো বটেই, খেলার ধাঁচও যুগে যুগে পাল্টেছে। এখন চলছে টি-টোয়েন্টি যুগ। ব্যাটসম্যানদের মন্ত্র একটাই— ‘মারো’। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওয়ানডেতে প্রায় ম্যাচই হয় বড় স্কোরের। টি-টোয়েন্টিতেও ২০০ রানের স্কোর দেখা যায় হরহামেশা। একেবারে অবশ্য আসেনি এই পরিবর্তন। বিভিন্ন সময়ে ব্যাটিংয়ে নতুনত্ব যোগ করার মাধ্যমে এসেছে পরিবর্তন। আর এজন্য তিন ব্যাটসম্যানকে বেছে নিয়েছেন ইনজামাম-উল-হক।

‘নিজেদের ধাঁচে ব্যাটিং করে ক্রিকেট খেলার ধরন পাল্টে দিয়েছেন তিন ব্যাটসম্যান’— নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন ইনজামাম। যেখানে তিনি রেখেছেন তিন সময়ের তিন ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস, সনাথ জয়াসুরিয়া ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি রিচার্ডসের নাম, ‘অনেক বছর আগে ভিভ রিচার্ডস পাল্টে দিয়েছিলেন খেলার ধরন। ওই সময় ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা সাধারণত ব্যাকফুটে খেলতেন, কিন্তু তিনি সবাইকে দেখিয়েছেন কিভাবে তাদের বিরুদ্ধে ফ্রন্টফুটে খেলতে হয়। তিনি শিখিয়েছেন ফাস্ট বোলারদের ওপরও চড়াও হওয়া যায়।’

দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বলেছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট জয়াসুরিয়ার কথা, ‘দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তনটা আনেন জয়াসুরিয়া। তার মন্ত্র ছিল, প্রথম ১৫ ওভারে ফাস্ট বোলারদের আক্রমণ করা। তার আসার আগে বল উড়িয়ে মারাকে ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হতো না। কিন্তু তিনি প্রথম ১৫ ওভারে বৃত্তের ভেতরে থাকা ফিল্ডিংয়ের সুবিধা নিয়ে চড়াও হতেন ফাস্ট বোলারদের ওপর।’

তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ইনজামাম বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্সকে, ‘তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে যিনি খেলার ধরন পাল্টে দিয়েছেন, তিনি হলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মারমুখী ব্যাটিংয়ের যে প্রদর্শনী এখন দেখতে পাই, সেটার জন্য আমি কৃতিত্ব দেবো ডি ভিলিয়ার্সকে। আগে ব্যাটসম্যানরা সোজা ব্যাটে বলে আঘাত করতো। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স শুরু করেন প্যাডেল সুইপ, রিভার্স সুইপ।’