তামিমকে সবসময় বিশেষ চোখে দেখেন মাশরাফি। তার ব্যাটে এলো ১৫৮ রান। বাঁহাতি ওপেনারের ফর্মে ফেরাটা দলের জন্য ভালো মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি মনে করি সে (তামিম) সবসময় আমাদের জন্য বিশেষ (খেলোয়াড়)। রান করে সে খুশি, ভালো লাগছে। তার সঙ্গে অন্যরাও ব্যাটিংয়ে ভালো করেছে এবং এটা দেখতে পারা দারুণ ব্যাপার।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান এসেছে বাংলাদেশের। প্রথম ওয়ানডেতে লিটন দাসের ১২৬ রানের ইনিংসে স্বাগতিকরা করেছিল ৩২১ রান। মঙ্গলবার তামিমের ব্যাটে চড়ে এসেছে ৩২২ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে ওয়ানডের শীর্ষ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘কৃতিত্বের বেশির ভাগই টিম ম্যানেজমেন্টের, কারণ তারা সবসময় আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। টেস্ট ম্যাচ ও নেটে ভালো ব্যাটিং করছিলাম। জানতাম, বড় কিছু করতে যাচ্ছি। একটু উত্থান পতন ছিল। এটা ভালো একটা ব্যাটিং উইকেট ছিল। অন্য প্রান্তে মুশি (মুশফিক) সুন্দর ব্যাটিং করছিল। তরুণদের কথা না বললেই নয়, প্রথম ম্যাচে লিটন ব্যাট হাতে ভালো করেছে। শান্তকেও বেশ ভালো দেখাচ্ছে, সে তাড়াতাড়ি বড় স্কোর করবে। আমরা ভালো ব্যাট করছি, এটা ভালো ব্যাপার।’
৩২২ রান করার পরও একসময় ম্যাচ হাত ফসকে যেতে বসেছিল ডোনাল্ড তিরিপানোর ব্যাটিং ঝড়ে। শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত ৪ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাতে সিরিজও নিশ্চিত করেছে। রেকর্ড রান করেও ঘাম ছুটিয়ে জিততে হলো। এমন জয়েও ইতিবাচক মাশরাফি, ‘জয় তো জয়ই, এটা ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। আমরা স্নায়ুচাপটা কাটিয়েছি। এ জয়কে আমরা পরের ম্যাচে কাজে লাগাবো। এই ম্যাচের পর প্রত্যেকে বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন, কিন্তু এটা ছিল খুব ভালো উইকেট। খানিকটা শিশির ছিল। বোলারদের জন্য কঠিন হচ্ছিল বল করা। যখন আপনি কোনও শক্ত ম্যাচ জিতবেন, তখন সেটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’