খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে এনামুল

উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এনামুল হককরোনাভাইরাসে সবকিছু বন্ধ। এতে ঘরবন্দি খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপদে। সেই সব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার এনামুল হক। এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান চাল, ডাল ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করছেন।

এনামুলের বাসা মিরপুরে। সেখানকার আশেপাশের গরিব-অসহায় লোকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে সহায়তা করছেন এনামুল। অন্য অনেকের মতো সংখ্যা দিয়ে দানের হিসাব করতে চান না তিনি। যতক্ষণ পারবেন অসহায়দের সাহায্য করে যাবেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।


বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন তেমনটাই, ‘মিরপুরের আশেপাশে দিচ্ছি। কতটুকু দিয়েছি বা কতটুকু দেবো, সেটা বলতে পারছি না। যতটুকু পারি করব। একসঙ্গে ৫ ব্যাগও দিচ্ছি, আবার ১০ ব্যাগ কিংবা ৩০ ব্যাগ করেও দেওয়া হচ্ছে। কতখানি দিচ্ছি, সেটা ব্যাপার নয়। আমার দ্বারা কারও উপকার হলেই আমি খুশি।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে খেটে খাওয়া অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে দারুণ তৃপ্ত এনামুল, ‘মানুষকে উপকার করতে পারা খুব ভালো দিক। নিজের কাছে ভালো লাগার বিষয়। মানসিক স্বস্তির জায়গা বলতে যা বোঝায়। এমনিতেই কারও উপকার করতে পারলে মনের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করে। আমাকে যারা চেনেন, আমার কাজটুকু দেখে তারা যদি উৎসাহিত হন তাহলে এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। এভাবে একজন থেকে দুইজন; দুইজন থেকে চারজন করে হাজার জন হয়ে যাবে। এভাবে বাংলাদেশের সবাই এগিয়ে এলে কারও আর অর্থ কষ্ট থাকবে না।’

করোনা থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান এই ব্যাটসম্যানের, ‘আমাদের বিপদ কিন্তু কাটেনি। সামনের দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা আমরা বাসায় না থাকলে স্পেন-ইতালি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো মহামারি হতে কিন্তু সময় লাগবে না। সুতরাং আমাদের ধৈর্য ধরে বাসায় অবস্থান করতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারব।’

বাসায় সময় কাটানোর জন্য সবাইকে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন এনামুল, ‘বাসায় টানা থাকতে সবার কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাঁচতে হলে এটা করতেই হবে। এমন না যে আমরা বন্দি অবস্থায় আছি। আমরা পরিবারের কাছে আছি, নিরাপদে আছি। বাসায় বসে বই পড়া, গান শোনা, টিভি দেখা, পরিবারকে সময় দেওয়া, পারিবারিক কাজে সাহায্য করার মতো অনেক কাজ আছে। সেগুলো সবাই করতে পারে। আমি তো এভাবেই সময় কাটাচ্ছি।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘যাদের কিছু নেই তাদের কথা ভিন্ন, তাদের জন্য তো সাহায্য আসছে। তাদের নিয়ে সরকার ভাবছে। কিন্তু অন্তত আমাদের যাদের ঘর আছে, তারা যেন ঘরে থাকাটা নিশ্চিত করি।’