কোহলি-রুবেলের দ্বন্দ্বের শুরু যেভাবে

২০১৫ বিশ্বকাপে কোহলিকে আউট করে রুবেলের বুনো উল্লাসরুবেল হোসেন ও বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত লড়াই স্পষ্ট ফুটে ওঠে মাঠে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দুজনের শরীরী ভাষাটাই থাকে অন্যরকম। কবে থেকে, কিভাবে শুরু হয়েছিল এই লড়াই, জানালেন বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার।

শুক্রবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের লাইভে রুবেল ও তাসকিন আহমেদের কথোপকথনে উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। সেখানেই রুবেলের কাছে তামিম জানতে চেয়েছিলেন, কোহলির সঙ্গে তার দ্বৈরথের শুরুটা হলো কিভাবে? তামিমের প্রশ্ন ছিল, ‘রুবেল, তোর সঙ্গে আমি সবসময় দেখি যে বিরাট কোহলির কিছু না কিছু লেগে থাকে। অনেকদিন ধরে দেখছি এই বিষয়টা। যেমন, তুই ওর সঙ্গে চোখাচোখি করিস। আউট করলে আবার লাফিয়ে উল্লাস করিস। আসলে তোদের মধ্যে কাহিনি কী? এই ইতিহাস যদি আমাদের সবাইকে একটু জানাস?’

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েই কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু রুবেলের। রুবেল বললেন, ‘আসলে বিরাট কোহলির সঙ্গে আমার অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে সমস্যা। আমরা কিন্তু একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (২০০৮) খেলছি। সেই তখন থেকে ওর সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব লেগে আছে। অনূর্ধ্ব-১৯-এ থাকাকালীন কোহলি অনেক বেশি স্লেজিং করতো। হয়তোবা জাতীয় দলে এই বিষয়টা একটু কমছে। তবে তখন প্রচুর পরিমাণে স্লেজিং করতো।’

রুবেল আরও বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ভারতের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের একটা ম্যাচ খেলছিলাম। শুরু থেকে প্রচুর স্লেজিং করছিল কোহলি। আসলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের উল্টাপাল্টা কথা বলছিল। সে কী ধরনের গালিগালাজ করতে পারে, এটা আমরা সবাই জানি। আমিও তাকে সে ম্যাচে আউট করে স্লেজিংয়ের সময় হালকা গালি দিয়েছিলাম। তখন সে ব্যাটটা উল্টা করে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল আর আমাকে গালি দিচ্ছিল। আমিও তার দিকে তেড়ে যাচ্ছিলাম। যদিও আম্পায়ার এসে পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের সরিয়ে দিয়েছিলেন। আসলে তখন থেকে তার সঙ্গে আমার একটা দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’