বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অল্প রানআপে তিন ওভার বোলিং করেছেন জাহানারা। বেশিরভাগ বল যেভাবে করতে চেয়েছেন, ঠিক সেভাবেই পেরেছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন তিনি, ‘আজকে জিমের পাশাপাশি বোলিং করেছি। আপাতত তিন দিনের সূচি দিয়েছে। আজকেও তিন ওভার বোলিং করেছি। এতদিন পর বল, লাইন-লেন্থে কিছুটা সমস্যা তো হবেই। ১৮টা বোলিং করেছি, ১৪টা বল জায়গা মতো করতে পেরেছি, সুইংও পেয়েছি। বাকি বলগুলো ওয়াইড লেন্থে হয়েছে, যেটা আমি চাইনি। আসলে ৫ মাসে একটা ব্রেক তো পড়বেই। সব মিলিয়ে আমি আমার বোলিং দেখে দারুণ সন্তুষ্ট।’
জাহানার সবচেয়ে ভালো লাগছে মাঠে ফিরতে পেরে, ‘শান্তি লাগছে। অনেক বেশি তৃপ্তি অনুভব করছি। অনেক ভালো লাগছে। অনেকদিন পর বোলিং করলাম, মিরপুরের মাঠে হাঁটলাম। দীর্ঘদিন পর এমন অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ বিসিবিকে।’
মাঠে নামার আগে অবশ্য কিছুটা ভয়েই ছিলেন জাহানারা। ভয় পাওয়ার কারণও আছে। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। জাহানারাও তেমন কিছুর আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সেই সব সমস্যা না হওয়ায় তৃপ্ত এই পেসার, ‘পত্রিকায় টিভিতে দেখেছি অনেকেই প্রথম দিনে খুব অস্বস্তি ফিল করেছে, বলগুলো ডাবল দেখছে, মাথা ঘুরাচ্ছে, কিন্তু আমার তেমনটা মনে হয়নি। আমি ওদের অবস্থা দেখে ভয় পাচ্ছিলাম, ওদের এই অবস্থা হলে আমাদের কী হবে? আলহামদুল্লিাহ আমার তেমন কিছুই হয়নি।’
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জাহানারা ছাড়াও শারমিন সুপ্তা, শামিমা সুলতানা ও নাহিদা আক্তার অনুশীলন করেছেন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুন করেছেন অনুশীলন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন করবেন খাদিজাতুল কুবরা ও শারমিন সুলতানা। প্রত্যেকের সময় আলাদা করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি ইনডোরে ব্যাটিং ও ইনডোরের আউটারে বোলিংয়ের জন্যও আলাদা করে রাখা হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়।