আবারও ব্যর্থ তামিম-এনামুল, মিডল অর্ডারে রক্ষা

পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলী ও মাহিদুল ইসলাম ১১১ রানের জুটি গড়েনএকের পর এক ম্যাচ যাচ্ছে, আর লম্বা হচ্ছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিল। আগের চার খেলার মতো আজও (সোমবার) প্রথম ইনিংসে একই দৃশ্য। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রুবেল হোসেনের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তরতর করে ভেঙে পড়েছে তামিম একাদশের টপ অর্ডার। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডারের ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২২১ রান করেছে তামিমরা।

এই দৃশ্য যেন রুটিন হয়ে গেছে প্রেসিডেন্ট’স কাপে। ২১ রানে ৩ উইকেট, ৬৫ রানে ৪ উইকেট, ৬৮ রানে ৫ উইকেট, ৩৯ রানে ৪ উইকেট, ৬৫ রানে ৪ উইকেট, ৬৪ রানে ৪ উইকেট, ৩১ রানে ৩ উইকেট, ৬৯ রানে ৪ উইকেট— আগের খেলা চার ম্যাচের ৮ ইনিংসে ৭০ রানের মধ্যেই দলগুলো টপ অর্ডারের ৪-৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। পরে মিডল অর্ডার, কখনও কখনও লেট অর্ডারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় কোনও রকমে ম্যাচ জিতেছে কিংবা প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য দিয়েছে।

সোমবার মাহমুদউল্লাহ একাদশের জন্য ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। এই লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ তামিম একাদশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রুবেল ও আবু হায়দারের গতির সামনে বিপর্যস্ত তামিম একাদশের ব্যাটসম্যানরা। ১৭ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান— তামিম, তানজিদ তামিম, এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ফিরে গেলে বিপদে পড়ে তারা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ১১১ রানের জুটি গড়েন। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ইয়াসির ৬২ রানের ইনিংস খেলেন।

এছাড়া মাহিদুল খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। ১১০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। পরে মোসাদ্দেকের ৩৯ বলে ৪০ ও সাইফউদ্দিনের ২৯ বলে ৩৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে তামিম একাদশ।

রুবেল আগুন ঝরিয়েছেন বোলিংয়ে। ১০ ওভারে ৩ মেডেন দিয়ে ৩৪ রান খরচায় পেয়েছেন ৪ উইকেট। রুবেলই মূলত তামিম একাদশের টপ অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। এছাড়া এবাদত হোসেন ৬০ রানে ২টি ও আবু হায়দার ৪০ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

তামিম একাদশ: ৫০ ওভারে ২২১/৮ (ইয়াসির ৬২, মাহিদুল ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফউদ্দিন ৩৮, তামিম ৯; রুবেল ৪/৩৪, এবাদত ২/৬০, আবু হায়দার ১/৪০)।