তামিমদের হারিয়ে চট্টগ্রামের তিনে তিন

বল হাতে আবারও আলো ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানআগের ম্যাচেই জয়ে ফিরেছিল ফরচুন বরিশাল। কিন্তু এক ম্যাচ না যেতেই আবার পথ হারালো তামিম ইকবালরা। তাদেরকে হারানো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম কিন্তু উড়ছে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দলটি পেয়েছে তারা তৃতীয় জয়।

মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামের বোলিংয়ের সামনে হার মানতে হয়েছে বরিশালকে। এই দুই পেসার মিলে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। চট্টগামের করা ১৫১ রানে লক্ষ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে থামে তামিমরা। ফলে ১০ রানের জয়ে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের একমাত্র অজেয় দল হয়ে থাকলো চট্টগাম।

আগের দুই ম্যাচের মতো শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আজকের (সোমবার) ম্যাচেও তামিমের ওপেনিং পার্টনার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু আগের মতোই ব্যর্থ তিনি। চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক তামিম। ৩২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপরই মূলত বল হাতে তাণ্ডব চালান মোস্তাফিজ-শরিফুল জুটি। দুজনের বোলিংয়ে বরিশালের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। ২২ বলে ২৪ রান করে দলের দ্বিতীয় সংগ্রাহক আফিফ। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ১০ বলে ১৭ ও সুমন খান ৮ বলে করেন ১৫।

২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। এছাড়া শরিফুল সমান সংখ্যক উইকেট নেন ২৭ রান খরচায়। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও সৌম্য সরকার।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করা চট্টগ্রাম ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দলগত পারফরম্যান্স করছে চট্টগ্রাম। সোমবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে আজ চট্টগ্রামের জন্য ‘সৌভাগ্য’ হয়ে এসেছে মুমিনুল হকের ইনজুরি! বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া সৈকত আলীর বিস্ফোরক ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় সৈকত ২৭ রানের ইনিংস খেলেন।

আগের দুই ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। সোমবার লিটন সফল হলেও ব্যর্থ সৌম্য। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে লিটন সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। সৌম্য ৫ রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন ২৮, শামসুর রহমান ২৬ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রান করেছেন।

বরিশাল পেসার আবু জায়েদ ৪২ রানে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সুমন খান, তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।