‘শূন্য’ থেকে চোখ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচকরা। এই পরিকল্পনার কারণে বাদ পড়তে হয়েছে অভিজ্ঞ মাশরাফি মুর্তজাকে। নতুন পরিকল্পনায় অনেক নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। আর এই পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই।

শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ- তিন তরুণ ক্রিকেটারকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। তাদের দলে নেওয়া হয়েছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ টার্গেট করে। পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, আফিফ হোসেনরাও আছেন এই পরিকল্পনায়। কিন্তু এই যাত্রায় একেবারে শুরু থেকে শুরু করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কারণ কারোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তাই ‘শূন্য’ থেকে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘প্রস্তুতি’ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের।

তেমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘আমাদের জন্য একেবারে নতুন শুরু করা। কারণ একটা লম্বা বিরতি গিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত বড় গ্যাপ মানে নতুন করে শুরু। আর এটার অর্থ হলো শূন্য থেকে শুরু করা। সে হিসেবে প্লেয়ারদের ওপর একটা চাপ অবশ্যই থাকবে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে হবে।’

সেই চ্যালেঞ্জ নিতে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের মিশেলে দল গড়েছেন তারা। যে দলে তিন তরুণকে রাখার ব্যাখ্যায় ২০২৩ বিশ্বকাপের কথাই শোনালেন নান্নু, ‘আমরা তিনজন নতুন খেলোয়াড় নিয়েছি, এটা পরিকল্পনার অংশ। এ সিরিজ থেকেই আমরা শুরু করছি। ওদের তৈরি করা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে রেখে কাজ করানোর জন্যই এই তিন নতুনকে রাখা হয়েছে। মেহেদীকে দেওয়া হয়েছে, শরিফুল আছে, হাসান মাহমুদ আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি, আমাদের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুরু হলো এই সিরিজ থেকে। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে, সেটার একটা পরিকল্পনা আছে।’

নান্নু সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘নতুন প্লেয়ারদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম অনেক বড় ব্যাপার। এ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওরা দলের সিনিয়রদের থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে দলে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি।’

হোম সিরিজে সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ জনের দল দিয়ে থাকেন নির্বাচকরা। তবে করোনার কারণে এবারের দলটা বড় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘১৮ জনের স্কোয়াড। কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখেই আমরা স্কোয়াডটা বড় করেছি। দরকার আছে, কারণ কে কখন অসুস্থ হয়, আসলে এ চিন্তা করেই স্কোয়াডটা বড় করেছি।'