২০ চার ৮ ছক্কায় জিসানের ১৬৯, জাহাঙ্গীরাবাদের সোনার হাসি

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে ছেলেদের ক্রিকেট ইভেন্টে সোনার হাসি জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোনের। জিসান আলমের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত চার দলের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন তারা। আজ (শনিবার) ফাইনালে বরেন্দ্র নর্থ জোনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সোনা জিতেছে জাহাঙ্গীরাবাদ। এর আগে মেয়েদের বিভাগে বাংলাদেশ নীল দল সোনা জিতেছিল।

চার দলের প্রতিযোগিতায় লিগ পর্বে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল চট্টলা ইস্ট জোন ও চন্দ্রদ্বীপ সাউথ জোন। নেট রানরেটে চন্দ্রদ্বীপের (-১.৪৫৪) চেয়ে এগিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থাকায় চট্টলা (-০.১৭৭) ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে রান উৎসবের ফাইনালে বরেন্দ্রকে হারিয়ে পরাজিত চ্যাম্পিয়ন জাহাঙ্গীরাবাদ। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। টস জিতে আগে ব্যাট করে অধিনায়ক নাঈম আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭০ রান তুলেছিল বরেন্দ্র। ৭ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম ও মিনহাজুল হাসান ১৫৮ রানের জুটি গড়েন। মিনহাজুল ৬৫ রান করে আউট হলেও নাঈম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১২৯ বলে খেলেছেন ১২৮ রানের ঝমলমে ইনিংস, যাতে ছিল ১৩ চার ও এক ছক্কার মার।

জাহাঙ্গীরাবাদের শাহরিয়ার আলম পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া রেজওয়ান হোসেন, খালিদ সাইফুল্লাহ ও আমির হোসেন প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিসান আলমের সেঞ্চুরিতে ৪০.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে  জাহাঙ্গীরাবাদ। ওপেনিংয়ে ১৩০ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত গড়ে দেন রেজওয়ান হোসেন ও জিসান আলম। রেজওয়ান ৩৫ রান করলেও জিসান পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ইনিংসের ৩৬তম ওভারে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন তিনি আউট হন, তখন জাহাঙ্গীরাবাদের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ২৫০ রান। ১১৯ বলে ১৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন জিসান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ইনিংসটি তিনি সাজান ২০ চার ও ৮ ছক্কায়। পরে আমির হোসেনের অপরাজিত ৪৬ ও মাকসুদুর রহমানের অপরাজিত ৯ রানে সহজ জয় পায় জাহাঙ্গীরাবাদ।

বরেন্দ্রর নাঈম আহমেদ, রাফিউজ্জামান রাফি ও জাকারিয়া ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ক্রিকেট ইভেন্টে টানা তিন জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোনা জেতে বাংলাদেশ নীল দল। সবুজ দল রুপা ও লাল দল পায় ব্রোঞ্জ।