৯৯ রানেই শেষ পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ের ‘প্রথম জয়’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আধিপত্য ছিল শুধুই পাকিস্তানের। সেই দলটিই জিম্বাবুয়ে সফরে পেলো অপ্রত্যাশিত ফল! হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৯ রানে হেরেছে সফরকারীরা। এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় জিম্বাবুয়ে।

একই সঙ্গে ২০১৬ সালের পর ঘরের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের দেখা পেলো স্বাগতিকরা। এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে যা তাদের প্রথম জয়। তাও আবার ১৬বারের চেষ্টায়।

স্লো উইকেটে ১১৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান ১৯.৫ ওভারে গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯৯ রানেই! ২০১৬ সালের পর যেটি পাকিস্তানের সর্বনিম্ন।

ধীর গতির সূচনার পর ভয়বাহ ধ্বস নামে পাকিস্তানের মিডল ও লোয়ার অর্ডারে। শেষ ৭ উইকেটই পড়েছে মাত্র ২১ রানে! অথচ এক পর্যায়ে স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৭৮! 

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম। ৪৫ বলে করেছেন ৪১। দানিশ আজিজ ২৪ বলে করেন ২২। ডাবল ডিজিটে পৌঁছানো আরেকজন হলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৮ বলে করেন ১৩। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার খেলায়।

পাকিস্তানের এমন দুর্দশার পেছনে জিম্বাবুয়ের মিডিয়াম পেসার লুক জঙ্গুইয়ের কৃতিত্ব বেশি। যিনি সিরিজটিতে ফিরেছেন ৫ বছর পর। আর ফিরেই ১৮ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। দুটি নেন রায়ান বার্ল।

অথচ টস জিতে শুরুতে বোলিং নিয়েছিল পাকিস্তানই। বোলাররা ঠিকই স্বাগতিকদের অল্পতে আটকে রাখতে সক্ষম ছিলেন। একমাত্র সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে ওপেনার টিনাশে কুমুনহুকামউইর ব্যাট থেকে। ৪০ বলে করেছেন ৩৪ রান। প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারা অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর থিতু হতে পেরেছেন মাত্র ৭ বল। ফিরেছেন মাত্র ৫ রানে। এছাড়া রেজিস চাকাভা ১৮, ম্যাডেভেরে ১৬ এবং মারুমানি ও মুসাকান্দা ১৩ রান করেন স্বাগতিকদের পক্ষ থেকে। বাকিরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৯ উইকেটে ১১৮ রান করতে পারে জিম্বাবুয়ে।

১৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাসনাইন। ২৯ রান দিয়ে দুটি নেন দানিশ আজিজও। একটি করে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ, আরশাদ ইকবাল, হারিস রউফ ও উসমান কাদির।