ম্যাচ বাঁচাতে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী?

ক্যান্ডিতে জিততে গেলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস বদলাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অবস্থা আরও বেগতিক। হারের চোখ রাঙানি বাংলাদেশের দিকে। তবে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, প্রথম সেশনটা ভালো মতো কাটাতে পারলে হার এড়ানো সম্ভব। আর সেই পরিকল্পনা নিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে শেষ দিন।

৪৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন লিটন দাস (১৪*) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৪*)। তামিম-মুশফিক-মুমিনুল-শান্ত কেউই লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। ক্রিজে থাকা জুটির পর বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান আর কেউ নেই।

তারপরও শান্ত মনে করেন, লিটন ও মিরাজ প্রথম সেশনটা ভালোভাবে কাটাতে পারলে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব, ‘এখনও দুজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করছে। এই পরিকল্পনাই থাকবে তারা যতক্ষণ ব্যাটিং করতে পারে, আমাদের জন্য ভালো। প্রথম সেশন যদি আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে পরবর্তীতে ভালো কিছু চিন্তা করতে পারবো।’

‘ভালো কিছুর চিন্তা’ মানে যে ম্যাচ ড্র করা, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেটাও ভীষণ কঠিন। লোয়ার অর্ডারদের দিয়ে গোটা দিন পার করে দিতে গেলে নতুন ইতিহাস লিখতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসও সায় দিচ্ছে না। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। ওখানে আমরা একটু পেছনে পড়ে গেছি। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। ৩ উইকেটে ২০০ রানের মতো ছিল। ওখান থেকে পরে আর জুটি হয়নি। ওই জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’

শান্ত মনে করেন, দুটি উইকেট কম হারালেই চতুর্থ দিনটি ভালো হতে পারতো, ‘টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে স্পিনারদের সহায়তা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবাই ভালো শুরু পেয়েছিলাম। ভালো শুরুর পরও ইনিংসগুলো বড় করতে পারিনি। হয়তো ৩ উইকেটের বেশি না পড়লে দিনটা আমাদের ভালো হতো।’

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ঠিক কী কারণে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং, এর ব্যাখ্যায় শান্ত বললেন, ‘উইকেটটা যে রকম ছিল, এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা যত বেশি নেগেটিভ থাকবে ততই কঠিন হবে। পজিটিভ মানেও এই না সব বল মারার পরিকল্পনায় ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করেছে। সবাই ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছে।’