পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কী বললেন মুশফিক?

২০০৫ সালে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু মুশফিকুর রহিমের। বয়স যত এগিয়ে যাচ্ছে, মুশফিক ততোটাই নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশ প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে এই মুশফিকের ব্যাটে চড়েই। প্রথম দুই ম্যাচে সফল মুশফিক, সফল বাংলাদেশও। শেষ ম্যাচে মুশফিক ব্যর্থ, ফলাফল হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু ৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরিতে ২৩৭ রান নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানই। এর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠে বলেছেন, ‘১৫ বছর কাটিয়ে ফেলার পর দলে অবদান রাখাটা জরুরি।’

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিক। সব ফরম্যাটে দলের আস্থার প্রতীক তিনি। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেই জ্বলে উঠেন। ১৫ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৫.৩৪ গড়ে মুশফিকের ১ হাজার ৪৩ রানই বলে দেয় সেই কথা। তাহলে কী মুশফিকের কাছে লঙ্কানরা প্রতিপক্ষ হিসেবে দুর্বল? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছেন, ‘আসলে বিষয়টা তা না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর খেলার পর, আপনাকে দলে অনেক বেশি অবদান রাখতে হবে। আমি সেই জায়গা থেকেই চেষ্টা করছি। ভাগ্যক্রমে আমি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশি ভালো করছি। কিন্তু তারা সহজ কোনও প্রতিপক্ষ নয়। আমি যেভাবে খেলছি, তাতে করে অনেক খুশি। আগামীতেও যখন সুযোগ পাবো, চেষ্টা করবো আমার সেরা ক্রিকেটই খেলতে।’

চাপের মুখেই সবচেয়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেন মুশফিক। শেষ ম্যাচে না পারলেও প্রথম দুই ম্যাচে চাপের মাঝেই বড় ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন। তাহলে নিশ্চয়ই মুশফিক চাপটাও উপভোগ করেন? ৩৪ বছর বয়সী মুশফিক অবশ্য এ কথার দ্বিমত করলেন না, ‘সত্যিই আমি চাপ উপভোগ করি। দল যখন চাপে থাকে এবং আমার ওপর প্রত্যাশা বেশি থাকে, তখন আমি চাপটাকে মানিয়ে নিতে পারি। আর এটা পারি বলেই হয়তো ব্যাটে রান আসে। আমি এই চাপ উপভোগ করি সব সময়। ’