শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতলো আবাহনী

সুপার লিগে আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচটি শেষ ওভারে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। ৬ বলে ৯ রান প্রয়োজন ছিল আবাহনীর। তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে আবাহনী। এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সাইফউদ্দিনের ধারালো বোলিংয়ের সামনে ১৯.১ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট হয় মাহমুদউল্লাহর দল। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী। কেবলমাত্র একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলা শান্তই ম্যাচসেরা হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মুশফিক রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ইনজুরি থেকে ফেরা লিটন দাসের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে। তিনবার জীবন পেয়ে এই ব্যাটসম্যান ২২ রান করেছেন।

১৭তম ওভারে মূলত ম্যাচে ফেরে আবাহনী। মুকিদুল ইসলামের ওই ওভারে ২১ রান তুলে নেন আফিফ ও শান্ত জুটি। আবাহনীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল, ১৯তম ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসানের বাজে ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারি পায় আবাহনী। তাতেই শেষ ওভারে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রানের।

প্রথম দুই বলে ৫ রান নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু তৃতীয় বলে জাকির হাসানের দূর্দান্ত থ্রোতে মেহেদী হাসান রানা (৯) রান আউট হলেও ম্যাচ জমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম বলে ‘জুনিয়র’ সাকিবের ডাবলসে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী। সাকিব ৪ ও আরাফাত সানি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

গাজী গ্রুপের বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ৩৮ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মেহেদী হাসান ও মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে গাজী গ্রুপ ৫ বল আগেই ১৩০ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া জাকির হাসান ২৭ ও মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রানের ইনিংস।

আবাহনীর হয়ে সাইফউদ্দিন ১৮ রানে নেন ৪ উইকেট। মেহেদী হাসান রানা ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট।