সাকিব নেই, তাই ভাগ্যও বদলায়নি মোহামেডানের

একের পর এক হারে শিরোপা লড়াই থেকে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বৃহস্পতিবারও ভাগ্য বদলায়নি তাদের। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে সাকিববিহীন মোহামেডান। প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা মোহামেডান ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় মাহমুদউল্লাহর দলকে। মেহেদী হাসানের ৯২ রানে ভর করে তিন বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে গাজী গ্রুপ। 

সুপার লিগে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে একটি জয়ও পায়নি মোহামেডান। প্রথম পর্বে চতুর্থ স্থানে থাকলেও এখন তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে। অন্যদিকে মোহামেডানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে গেছে গাজী গ্রুপ।

শুরুতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডান ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল গাজী গ্রুপ। ২২ রানে সৌম্য ফিরলেও মেহেদী হাসান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তরুণ এই অলরাউন্ডার ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ৫৮ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন। মেহেদীর ইনিংসে ভর করেই মূলত জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গাজী গ্রুপ। দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল আরিফুল (১১) ও আকবর (১১*) ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত গাজী গ্রুপ ৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে আসিফ হাসান ২২ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শুভাগত হোম ও ইয়াসির আলী নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে সাদা কালো শিবির। সুপার লিগে টানা হারতে থাকা মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শুভাগত হোম। এই অলরাউন্ডারের ৩১ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসটি ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো। ইনিংসের শেষ ওভারেই লং অনে দারুণ শটে চার মেরে হাফসেঞ্চুরির পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ৩২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছয়ে ৪১ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু তাদের ইনিংস বৃথা গেছে শেষ পর্যন্ত।

গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন রাকিবুল আতিক, মাহেদী হাসান ও মহিউদ্দিন তারেক।