প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি: পাপন

টানা দুই দফা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সামনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় আবারও বিসিবি প্রধানের চেয়ারে বসার সুযোগ নাজমুল হাসান পাপনের সামনে। কিন্তু বুধবার বোর্ড সভা শেষে তার অন্য ইঙ্গিত। হাসতে হাসতেই বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি।’

সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন পাপন। ২০১৩ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। এবার নির্বাচন করলেও বোর্ড সভাপতি হবেন কিনা এই নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন পাপন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গতানুগতিকভাবে যেভাবে আসছিল, সেটা থেকে বের হওয়ার একটা চিন্তা-ভাবনা আমি করছি। এ জন্য আমি বলছি, বোর্ডের ডিরেক্টর ইলেকশন করতে পারি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি (হাসি)।’ এর আগে বিসিবির বার্ষিক সভায় (এজিএম) জানিয়েছিলেন, ডাক্তার তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির। এজিএম শেষে বর্তমান কমিটি শেষবারের মতো বোর্ড সভায় বসেছিল বুধবার। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমান কমিটি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায়। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই হিসেবে তার আগে যেকোনও সময় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশনার।

বুধবার বোর্ড মিটিং শেষে এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হবে। আমরা চাইছি অক্টোবরে। বিশ্বকাপ সামনে, তার আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই।’

গত ২৬ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, এবারের নির্বাচনে চমক আসবে। বুধবার বোর্ড মিটিং শেষেও একই কথা বলেছেন তিনি, ‘অনেক কিছুই আসবে যা আগে কখনও হয়নি বা নতুন কিছু। নির্বাচনে ভিন্নতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এবং আসবে। তবে এটা আজ ঘোষণা করছি না। নির্বাচন কমিশনার যখন কাজ শুরু করবেন, তখনই জানতে পারবেন, পরিবর্তন দেখতে পারবেন।’